ঢাকা প্রতিনিধি : ১৯০৬ সালের ৩০শে ডিসেম্বর নবাব সলিমুল্লাহর উদ্যোগে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত না হলে ভারত বিভক্ত করে মুসলমানদের আলাদা আবাসভ‚মি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হতো না, আর তা না হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথও সুগম হতো না। সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশের বুনিয়াদী ভিত্তি ১৯৪৭সালে মুসলিম জাতিসত্তার আলোকে মুসলিম লীগের নেতৃত্বে সূচিত হয়েছিল যা ১৯৭১সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পূর্ণতা পায়।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩) দুপুরে উপমহাদেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগের ১১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের আয়োজনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন ব্রিটিশ দুঃশাসনের মূলমন্ত্র ডিভাইড এন্ড রুল নীতিতে অনুপ্রাণিত বিভিন্ন দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র বারবার এই ভ‚খÐের প্রাণসঞ্চারী রাজনৈতিক আদর্শ ও শেষ রক্ষাকবচ মুসলিম জাতিসত্তাকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে ফেলতে চেয়েছে যা এখনো চলছে। মুসলিম লীগকে দ্বি-খÐিত করে আওয়ামী মুসলিম লীগ সৃষ্টি করে ১৯৪৯ সালে এই সর্বনাশা কাজের সূচনা হয় বলে আমরা মনে করি।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন অজানা কোন রহস্যময় কারণে প্রতিষ্ঠার ৬বছর পরে, ১৯৫৫সালে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে তারা মুসলিম জাতিসত্তা আদর্শ বদলে রাতারাতি ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে যায়। শুরু থেকেই সরাসরি ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ ধারণ না করার কপট এ রাজনৈতিক কৌশল সেদিন জনগণের একটি অংশকে বিভ্রান্ত করে মুসলিম জাতিসত্তার মৌলিক ধারাকে দ্বি-খন্ডিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। তাদের পরবর্তী প্রজন্ম আজো বিভিন্ন অপকৌশলে বিরামহীন ভাবে জাতিকে বিভ্রান্ত করেই যাচ্ছে।
কখনো তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করে, আবার ক্ষমতায় বসে নিজেরাই এই ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, কার্যক্রমে একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে। কখনও স্বতন্ত্র প্রার্থীকে করে বহিষ্কার, কখনো দেয় পুরস্কার। বিনা প্রতিন্দ্বীতায় নির্বাচিত হওয়া কখনও অনিবার্য, কখনও নিষিদ্ধ। কখনো করে বিনা ভোটের নির্বাচন, কখনও করে ফেলে মধ্যরাতে -ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য এবার তারা করতে চাইছে সাক্ষীগোপাল নির্বাচন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগের উপর ভর করে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার প্রক্রিয়া চালু রেখে গদিতে টিকে থাকার তাদের এহেন মরিয়া প্রচেষ্টা, আজ দেশের গণতন্ত্র, অর্থনীতি আর স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে একেবারে খাদের কিনারায় নিয়ে এসেছে। এমতাবস্থায় বহুধা বিভক্ত মুসলিম জাতিসত্তা ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা জাতীয় ঐক্যই এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুসলিম লীগ মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, এ্যাড. হাবিবুর রহমান, এ্যাড. আফতাব হোসেন মোল্লা ও সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূর, অতিরিক্ত মহাসচিব কাজী এ.এ কাফী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জি: ওসমান গনী, নুরুজ্জামান বাছার, মোঃ নূর আলম প্রমুখ।
https://slotbet.online/
You have remarked very interesting details! ps decent website.Blog range