ব্যুরো প্রতিনিধি :
খুলনা : বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের অবহেলায় কলোনীর ভিতরে আবারো চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৪ যুবককে আটক করা হয়েছে। আর চুরির সাথে বড় কর্মকর্তাদের যোগসাযোস্যের আভাস দিলো আটককৃতরা।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৪ টায় একটি অটো ইজিবাইক করে বহিরাগত ৪ চোর লোহার মালামাল চুরি করে তোলার সময় স্থানীয় ক্যাম্পের পুলিশ ও আনসারের হাতে ধরা পড়ে। পরে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন উত্তর কাশিপুর চেয়ারম্যান বাড়ির মৃত আজাহার শেখের ছেলে যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলাম বাপ্পির ছোট ভাই রায়হান (৩০), পদ্মা রোডের বাসিন্দা কোবায়েদের ছেলে দিপু (২৪), দৌলতপুর মুচি পাড়ার বাসিন্দা মৃত খোকন মন্ডলের ছেলে কাকন মন্ডল (৩৬) ও বাতিপাড়ার সেলিম হাওলাদারের ছেলে ইউসুফ হাওলাদার (৩২)।
খুলনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যান্তরে পুলিশ গার্ডের গার্ড ইনচার্জ এ,এস,আই মোঃ গুলজার হোসেন জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরে পানির ট্যাংককির পাশে লোহার মালামাল রাখা ছিল। এ সময় বহিরাগত ৪ যুবক একটি খোলা ইজিবাইকে ২২০ কেজি ওজনের লোহার পানির পাম্পের বোল্ডার খোলা ইজিবাইকে তোলে।
পুলিশ গার্ডের সদস্যরা টের পেয়ে চোরদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা নিরাপত্তা বিভাগের সহকারি পরিচালকের নির্দেশে তারা লোহার মালামাল বিক্রির উদ্যেশে বাহিরে নিয়ে যাচ্ছিল।
ঘটনার খবর পেয়ে খালিশপুর থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় চুরিকৃত মালামাল জব্দ করে চোরদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর গত দেড় মাস আগে একই মালামাল পাচার করার সময় কলোনীর বাসিন্দারা ধরে কর্মকর্তাদের কাছে হস্থান্তর করে। মালামাল গুলি স্টোরে না রেখে কলোনীর পানির ট্যাংকির কাছে রাখায় রহস্যর সৃস্টি হয়েছে। প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনা ঘটায় উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ভুমিকা রহস্যজনক বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চুরির ঘটনায় ৪ চোরকে আটকসহ চুরিকৃত মাল জব্দ করা হয়েছে। চোরদের রিমান্ডে এনে ঘটনার সাথে কোন কর্মকর্তা জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
https://slotbet.online/