ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে সংসদ আসন ৩টি । সদর উপজেলা নিয়ে একটি আসন ঠাকুরগাঁও-১, বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর ও রাণীশংকৈলের একাংশ নিয়ে ঠাকুরগাঁও-২ আসন এবং পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈলের একাংশ নিয়ে ঠাকুরগাঁও-৩ আসন। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে নাঙ্গলের ভোট চাচ্ছেন নৌকা।
আসন গুলোর মধ্যে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে শেষ মূর্হতেও নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েনি। তবে অন্য আসন দুইটি তে প্রার্থী কর্মী ও সমর্থকদের প্রচার-প্রচারণায় তুমুল খৈ ফুটছে । ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা । সভা-সমাবেশ – উঠান বৈঠক করে দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি । কিন্তু ভোট নিয়ে আগ্রহ নেই সাধারণ ভোটাদের মাঝে।
ঠাকুরগাঁও-২ আসনে একই পরিবারের মধ্যে ভোট যুদ্ধ শুরু হয়েছে । এ আসনে ভোটের দিন সহিংসতা হতে পারে বলে ধারনা করছেন অনেকে। সাত-সাতবারের এমপি দবিরুল ইসলাম ছেলে মাজহারুল ইসলামের হাতে নৌকা তুলে দেয়ায় বাধ সেজেছে তার ছোট ভাই মোহাম্মদ আলীর ছেলে আলী আসলাম জুয়েল । পরিবারের মধ্যে চলছে জোড় লড়াই । জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান এ বিষয়ে জানান শান্তিপূর্ণ ভোটের আয়োজনে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনটি জোট-মহাজোটের সমীকরণে নির্বাচন হওয়ায় প্রতিবারই ছাড় দিতে হচ্ছে আওয়ামীলীগকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ আসনে এবার তিনটি রাজনৈতিক দল ও একজন নারী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে অবতীর্ণ হয়েছেন । তবে আসনটিতে শক্ত লড়াই হবে জাতীয় পার্টির মনোনীত হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও ওর্য়ার্কাস পার্টির গোপাল চন্দ্র রায়ের। জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য এমপি হাফিজউদ্দিন আহমেদ আবারও নির্বাচিত হবেন বলে দাবি খোদ সরকারি দলের (আওয়ামীলীগ) নেতা মো. বিপ্লব সহ অনেকের।
ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভোটের মাঠে আওয়ামীলীগের সিংহ ভাগ নেতা-কর্মীরা জাপার প্রার্থী হাফিজউদ্দিনের পক্ষে । আবার কেউ ওর্য়ার্কাস পার্টির গোপাল চন্দ্র রায়ে’র পক্ষ নিয়েছেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে দ্বাদ্শ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় সাম্প্রদায়িক বিষ বাস্প ছড়িয়ে গোপাল চন্দ্র রায় তার মিশন সফল করতে চান । তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। একাদশ নির্বাচনের বিএনপির এমপি জাহিদুর রহমান পদত্যাগের পর ঠাকুরগাঁও-৩ আসনটি শুন্য হয় । এর আগেও গোপাল চন্দ্র রায় ভোট যুদ্ধে অংশ নেন ।
সর্বশেষে ২০২৩ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি ভোটের মাঠে লড়াই করেন । তবে এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজউদ্দিন আহমেদ ৮৪ হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। আর গোপাল চন্দ্র রায় ভোট পেয়েছিলেন ৫১ হাজার । এবার গোপাল চন্দ্র রায় ওর্য়ার্কাস পার্টির হাতুড়ী নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন।
জাপা এবং ওর্য়ার্কাস পার্টির দুই প্রার্থীই আওয়ামীলীগের উপর ভর করে বিজয়ের স্বপ্ন দেখছেন বলে এমন মন্তব্য অনেকের। তবে ব্যক্তি ইমেজে পার হতে পারেন হাফিজউদ্দিন আহমেদ । স্থানীয় সংবাদকর্মী নাজমুল হোসেন ও রাণীশংকৈল উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না বলেন, শিক্ষাবিদ গোপাল চন্দ্র রায়ের নিজ ঘোরানার এক গুচ্ছ ভোট রয়েছে । এর পাশাপাশি আওয়ামীলীগের সিংহভাগ নেতা-কর্মী যদি তার দিকে ঝুঁকে পড়েন তাহলেই তার জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই দুই প্রার্থী ছাড়াও নির্বাচনের মাঠে এ আসনে রয়েছেন বিকল্প ধারার খলিলুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আশা মনি। এ আসনটি তে মোট ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৩ শ৫৪ জন ভোটার । ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৮টি।
https://slotbet.online/