• রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ইউপি ভূমি সহকারী কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্তে, কর্মকর্তা নিয়োগ ঠাকুরগাঁওয়ে সাপের কামড়ে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু আদিবাসীদের নিয়ে দিনব্যাপী ফুটবল টুনামেন্ট অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক চর্চার আরেক প্রাণ পুরুষ রবিউল আজম ঠাকুরগাঁয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মানবেতর জীবন বন্যার্তদের ৪ লাখ টাকা দিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের শিক্ষার্থীরা খুলনা জুট ওয়ার্কার্স ইনষ্টিটিউটের সম্পত্তি  রক্ষায় সভা অনুষ্ঠিত এমপি’র ছোঁয়ায় শত কোটি টাকার মালিক মুক্তা রাণী ! বন্যাদুর্গত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত নির্ধারণপূর্বক পুনর্বাসনের আহবান কৃষি উপদেষ্টার শত কোটি টাকার মালিক কে এই ন্যাংড়া স্বপন !

পুকুর দখলের অভিযোগ উঠেছে সরকার দলীয় এক নেতার বিরুদ্ধে

Reporter Name / ৩৯৪ Time View
Update : সোমবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৪

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে জোরপূর্বক পুকুর দখলের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জগেশ চন্দ্রের বিরুদ্ধে। তিনি বালিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের রাজাবিরাট পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের রাজাবিরাট পুকুরের মালিক সুলতান ফেরদৌস নম্র চৌধুরী এবং সুলতান উল নাঈম চৌধুরীর সাথে ২০২২ সালের ১৪ এপ্রিল ৫ বছরের জন্য ১৮ লাখ টাকায় খায়খালাশি ইজারা মূল্যে চুক্তি হয় বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মো: লাজুর সাথে।

চুক্তি মোতাবেক, পুকুরের মালিককে ৫ কিস্তিতে সমুদয় টাকা পরিশোধ করার কথা। সে অনুযায়ী প্রথম কিস্তি এবং দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পরিশোধও করেন ইজারা মালিক। কিন্তু হঠাৎ করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা এসে পুকুরে মাছ ছাড়ে। এ সময় পুকুরের মাছ তদারকির দায়িত্বে থাকা টিটু মন্ডল বাধা দিলে তাকে এলাকা ছেড়ে যেতে বলে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।

চুক্তি নামার স্বাক্ষী মো. খলিল বলেন চুক্তির বিষয়টি আমরা জানি এবং চুক্তি মোতাবেক ইজারা মালিক লাজু ভাই সব কিছু করে আসছে। পুকুরে তার অনেক টাকার মাছ আছে। কিন্তু আজ শুনছি চুক্তি শেষ না হতেই পুকুরের মালিক আরেকজনকে ইজারা দিছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন গয়া বলেন বিষয়টি নিয়ে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। পুকুরের মালিক টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকারও করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে দেখছি পুকুরটি স্থানীয় যুবলীগ নেতা দখল করতে আসছে। পূর্বের ইজারা বাতিল না করে আরেকজনকে ইজারা দেওয়াটা ঠিক নয়। এতে করে একটা দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে।

ইজারা মালিক মো. লাজু বলেন চুক্তিমোতাবেক প্রথম এবং দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দিয়েছি। পুকুর নেওয়ার পরে আমি প্রায় ৫০ লাখ টাকা ইনভেষ্ট করেছি। পুকুরে এখনো ২০ লাখ টাকার মাছ রয়েছে। পুকুরের তদারকিতে থাকা আমার লোককে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় যুবলীগ নেতা জগেশ চন্দ্র এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তার কাছে চুক্তিপত্র দেখতে চাইলে পরে দেখাবে বলে জানানো হয়।

পুকুরের মালিক সুলতান উল নাঈম চৌধুরী এব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে অপর মালিক সুলতান ফেরদৌস নম্র চৌধুরী বলেন ইজারা মালিক ৮ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পরিশোধ করেনি। আমি তাকে চুক্তির শর্ত ভঙ্গের জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। সে কোন উত্তর না দেওয়ায় অন্য জনকে পুকুর লিজ দিয়েছি।

এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/