ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নি¤œ আয়ের মানুষ। ঘন কুয়াশায় দিনের বেলা হেডলাইট জ¦ালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। গত কয়েদিন ধরে সূর্যের দেখা মেলছে না। বইছে শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে খড়খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে ঠাকুরগাঁওয়ে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩২ হাজার কম্বল দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর পাঁচপীর ডাঙ্গা গ্রামের একাধিক আদিবাসি জনগোষ্ঠীর মানুষের সাথে হলে তারা জানায়, এই সময় টাকা-পাইসা নাই, কাজ-কাম নাই, গরিব মানুষ শীতবস্ত্রেও অভাবে আগুন পোহাছি, প্রত্যেক বছর কম্বল দিতো এ বছর এখনো আমরা কম্বল পাইনি। শহরের কলেজপাড়া মহল্লার মায়া বলেন কাজ-কর্ম নাই শীতের দিন চলতে পারি না, রহিমা বেগম বলেন মানুষ কতো কি পাছে, হামাক এতনা জিসিসও দেয়নি। গরিব মানুষ আমরা সরকারি জিনিস কিছুই পাই না।
টিউবওয়েল মিস্ত্রি রশিদুল ইসলাম বলেন ঠান্ডায় কাজ-কাম নাই, পয়সা-করি নাই, কি করিমো, খাওয়া-দাওয়ার কষ্ট খুব, কেউ ১০ টাকা দিয়ে চালায় না। আজকেও ঘুরে আসছি, কালকেও ঘুরে আসছি, পরশুদিন ঘুরে আসছি। গড়েয়া গোপালপুর গ্রামের আলম হোসেন বলেন কাজ-কর্ম নাই জিনিসপত্রের দাম বেশী, আমাদের মতো গরিব মানুষের মরন ছাড়া কিছু নাই।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান বলেন এটা চলমান প্রক্রিয়া প্রথমে ২৩ হাজার পেয়েছি. পরে সাড়ে ৯ হাজার আরও চাহিদা পাঠিয়েছি।
https://slotbet.online/