টাঙ্গন ডেস্ক : বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির উপ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মনোনীত হলেন ঠাকুরগাঁও জেলার কৃতি সন্তান পরিশ্রমী ও মেধাবী শিক্ষার্থী মোঃ শাহরিয়ার রহমান শান্ত।

সোমবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) ২৫১ সদস্য বিশিষ্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির অনুমোদন দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

মোঃ শাহরিয়ার রহমান শান্ত ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়নের জাবরহাট গ্রামের মৃত মো : আনিসুর রহমানের ছেলে। মায়ের নাম মোছা : সুলতানা বেগম। বাবা জাবরহাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন।

মোঃ শাহরিয়ার রহমান শান্ত, স্কুল জীবন থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে জড়িত। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা শাখার সাবেক সদস্য, জাবরহাট ইউনিয়নের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

এভাবেই শাহরিয়ার রহমান শান্ত’র প্রথম যাত্রা শুরু হয়েছিল। ছোট বয়স থেকে অত্যান্ত দুরন্ত প্রকৃতির খেলা ধুলা, সামাজিক সকল কর্মকান্ড ও মিছিল মিটিংয়ে তার ছিল একচ্ছত্র অংশগ্রহণ।

তিনি ২০১৬ সালে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট হেম চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি পাশ করেন। এরপর ২০১৮ সালে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ হতে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসি (সম্মান) পরিসংখ্যান বিভাগে অধ্যয়নরত আছেন।

সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির সুযোগ না থাকলেও তিনি সৈয়দপুর শহরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় আয়োজিত ছাত্রলীগের কর্মসূচীতে সক্রীয় ছিলেন।

শাহরিয়ার রহমান শান্ত বলেন, শুরুতে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, মহাবিজয়ের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পূর্নাঙ্গ কমিটি প্রকাশ হওয়ায়, ধন্যবাদ জানাচ্ছি ইতিহাসের রোল মডেল, দেশরত্ন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে।

সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ভাইকে- যারা আমাকে ২৫১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে উপ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত করেছেন।

তিনি আরো বলেন, আমি পদের জন্য রাজনীতি কখনও করিনি করবও না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারন করে কাজ করতে চাই। গরীব অসহায় ছাত্রদের পাশে থেকে এবং অধিকার আদায়ে কাজ করে পাশে ছিলাম থাকব। আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করার চেষ্টা করব। জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে কাটাতে চাই। নিজের জীবনটাও উৎসর্গ করে দিতে চাই বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশের উন্নন করছেন সেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে একজন সাধারণ কর্মী হয়ে সারা জীবন থাকতে চাই নৌকার পাশে।

মাজহারুল কবির শয়নকে সভাপতি এবং তানভীর হাসান সৈকতকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫১ সদস্যের কমিটি ঘোষনা করা হয়।