ডেস্ক রিপোর্ট : ঠাকুরগাও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার কাকলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ঠাকুরগাও প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম বিপ্লবের উপর সন্ত্রাসীর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলেও আসামীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ বলছে আসামীদের ধরতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী বদরুল ইসলাম বিপ্লব।
জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া মধুপুর কাকলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র বর্মন ওই বিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে কয়েক জনকে নিয়োগের জন্য এক বছর পূর্বে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এবং সেই মনোনীত লোকদের নিয়োগ দিতে সভাপতির কাছে নিশ্চয়তা চায়। কিন্তু স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম পিছানোর চেষ্টা করে।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, মধুপুর কাকলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র বর্মনসহ এজাহার নামীয় আসামীগণ নীতিমালা বর্হিভ‚ত কাযক্রম চালায় আসছে। কর্মচারীদের বিল শীটে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে এবং সহকারি শিক্ষক সতীশ চন্দ্র বর্মন কোন রকমের অনুমোতি ছাড়াই বার বার ভারতে ভ্রমন করে।
এ বিষয়ে গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বিদ্যালয়ে গিয়ে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাইলে আসামীরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সভাপতিকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় এবং রক্তাক্ত জখম করে।
পরে গুরুতর অবস্থায় সভাপতিকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয়্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে গত সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শিক্ষকসহ ৪ জনকে আসামী করে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন- প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র বর্মন (৫৫) রুহিয়ার থানার ধর্মপুর ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত বজ্র মোহন টেপার ছেলে। বিপ্লব চন্দ্র বর্মন লক্ষণ (৩২) মধুপুর গুদামপাড়া গ্রামের মৃত স্ন্দুর মোহন বর্মন নিন্দালুর ছেলে। সতীশ চন্দ্র বর্মন (৫৬) মধুপুর মেনকাপাড়া গ্রামের মৃত সুরেন্দ্র নাথ বর্মনের ছেলে। সত্য রাম বর্মন (৩৮) মধুপুর গুদামপাড়া গ্রামের মৃত স্ন্দুর মোহন বর্মন নিন্দালুর ছেলে।
রুহিয়া এলাকার একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, মধুপুর কাকলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র বর্মন উগ্র স্বভাবের মানুষ। তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও অনেক অভিযোগ ছিল। তার অনিয়ম দূরর্নীতির কারণে দীর্ঘদিন সাময়িক বরখাস্ত হয়ে ছিলেন।
মধুপুর কাকলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র বর্মনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। তাদের মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি ছিল। তবে প্রধান শিক্ষকের এ ধরনের কার্যকলাপ চাকুরি বিধি পরিপন্থী।
রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গুলফামুল ইসলাম বলেন, মামলার আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
https://slotbet.online/