• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সংসারের হাল ধরতে চেয়ে নিজেই এখন বোঝা ; গুনতে হচ্ছে মৃত্যুর প্রহর! আজারবাইজানে কপ-২৯ সম্মেলনে ইএসডিওর সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত ২৬ নভেম্বর থেকে সাত দিনব্যাপী খুলনায় বিভাগীয় বইমেলা দেশকে এমনভাবে গড়তে চাই, জনগণই হবে সকল ক্ষমতার মালিক-প্রধান উপদেষ্টা সাফ ফুটবল জয়ী তিন কন্যাকে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের সংবর্ধনা যানজট নিরসনে হিলি পৌর প্রশাসকের মতবিনিময় ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল উন্নীতকরণের দাবিতে রাণীশংকৈল মানববন্ধন হিলিতে নিত্যপন্যের বাজার নিয়ন্ত্রন ও যানজট নিরসনে অভিযান বালিয়াডাঙ্গীতে করাতকল মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

৬৭ বছর পর আলোর মুখ দেখছে ঠাকুরগাঁও চিনিকল !

Reporter Name / ৬৩৭ Time View
Update : রবিবার, ৩ মার্চ, ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও : ২৫০ কোটি টাকা ঋণের বোঝা ও শতকোটি টাকা লোকসান নিয়ে রংপুর বিভাগের মধ্যে দীর্ঘদিন চালু ছিল একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান ঠাকুরগাঁও চিনিকল। ৬৭ বছরের পুরনো যন্ত্রপাতি, অনুন্নত জাতের আখ চাষ, মান্ধাতা আমলের চাষ পদ্ধতিতে আকড়ে থাকা, পরিচর্যায় অবহেলাসহ অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্বেও ঠাকুরগাঁও সুগার মিল চলতি মৌসুমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। এমন সাফল্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে ধ্বংসপ্রায় মিলটির কর্মকর্তা কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকদের মাঝে।

চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের উৎপাদন শুরু হয় গত বছরের ২২ ডিসেম্বর এবং মিল বন্ধ হয় চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। অর্থাৎ মিলটি চালু ছিল সর্বমোট ৫৪দিন। এ সময়ের মধ্যে ছোট খাটো দু’একটি ত্রুটির কারণে দু’এক ঘণ্টা মিল বন্ধ থাকলেও বড় কোন সাটডাউনে যায়নি। এটিকে একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখছেন মিল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

এবার ৭০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াইয়ের টার্গেট নিয়ে মিল চালু হলেও ৭৪ হাজার ৩৫ মে.টন আখ মাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। এতে চিনি উৎপন্ন হয়েছে ৪ হাজার ২১ মেট্রিক টন। চিনি আহরণের হার ছিল ৫.৪৩ শতাংশ। যদিও আহরণ হারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬.৫০ শতাংশ।

চিনি আহরণের এ নিম্ন হারের বিষয়ে কথা বললে সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান কবির বলেন, “নিম্ন হারের প্রধান কারণ হল ৬৭ বছরের পুরনো যন্ত্রপাতি। বিভিন্ন দেশে যেখানে সর্বোচ্চ ২৫ বছর একটি মিলের যন্ত্রপাতির স্থায়িত্ব হয়ে থাকে সেখানে আমাদের এ মিল ৬৭ বছর পরেও চিনি উৎপাদন করে যাচ্ছে। এছাড়াও উন্নত আখের জাত আমরা এখনও কৃষকের কাছে পৌঁছাতে পারিনি। মাঠ পর্যায়ে অন্য ফসলের চেয়ে আখের চাষে কৃষকেরও কিছু অবহেলা আছে, ফলে কাঙ্খিত ফলাফল আসছেনা”।

তিনি আরও জানান, এই অঞ্চলে (পঞ্চগড় ও সেতাবগঞ্জ সহ) মাত্র ৪ হাজার ৬১০ একরে আখ চাষ হচ্ছে। একরপ্রতি আখের ফলন বাড়াতে হবে। এই ফসল চাষে অন্য ফসলের মতো যতœ বাড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন, আগামী ২৪-২৫ মৌসুম থেকে আখের দাম বাড়ানো হয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে যেখানে প্রতি কুইন্টাল আখ মিলগেটে ৫৫০ টাকা এবং বাইরে ৫শ টাকা। ২০২৪-২৫ সালে বাড়িয়ে করা হয়েছে মিলগেটে প্রতি কুইন্টাল ৬শ টাকা এবং বাইরে ৫৮৭টাকা। এতে করে কৃষকরা আরো বেশি করে আখ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবেন বলে তিনি আশাবাদী।

এ কারণেই তিনি প্রত্যাশা করছেন আগামী আখ মাড়াই মৌশুমে ৯০ হাজার মে.টন আখ সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে কৃষককে আখ চাষে উদ্বুদ্ধ করাই এখন প্রধান কাজ বলে তিনি মনে করেন। ইতিমধ্যে কৃষকদের মাঝে আখচাষে আগ্রহ বাড়ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com
https://slotbet.online/
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com