বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের নগ্ন হস্তক্ষেপ, বিএসএফ কর্তৃক নির্বিচারে পাখির মত গুলি করে নিরীহ বাংলাদেশীদের হত্যা, অভিন্ন নদীর পানি প্রত্যাহার, বাণিজ্য বৈষম্যের মত বিভিন্ন ঘটনায় অসম দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্পষ্ট। এরকম বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে সকল ধরণের আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারকে অবজ্ঞা করে ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে কার্যত অপমানজনক ভাবে অস্বীকার করছে।
শনিবার (১৮ মে) সকালে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার প্রতিবাদ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবীতে আয়োজিত এক মানব বন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ডামি-ভুয়া-বিনা ও তামাশার ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় জেঁকে বসা নতজানু সরকার, দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বন্দর ব্যবহার, ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্টের মত পারস্পরিক স্বার্থ নিয়ন্ত্রক নিয়ামক গুলো শুধুমাত্র গদি টিকিয়ে রাখার সহায়তার আশ্বাসের বিনিময়ে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। জনগণ ভারতীয় পণ্য বর্জনের মাধ্যমে ঢাকা বিষয়ে দিল্লীর এহেন পররাষ্ট্রনীতির প্রতি তীব্র ঘৃণা জানাচ্ছে।
ইতিমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বিপদজনক সীমান্ত হিসাবে আখ্যা পাওয়া বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশী হত্যা কোন ভাবেই থামছে না। বারবার সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার উদ্যোগ, যৌথ টহল, পতাকা বৈঠক সব লোক দেখানো হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। শুধুমাত্র গত দশ বছরেই সীমান্তে হত্যার পরিমাণ আড়াই’শ ছাড়িয়ে গেছে।
এমতাবস্থায় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে মর্যাদার আসনে পুনঃস্থাপন করতে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ নিয়ন্ত্রণের নিয়ামক বিষয় সমূহ জনগণকেই ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র এক ট্রানজিট সুবিধা বাতিলের হুমকিতেই সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পারে বলে আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি।
দলের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মানব বন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সম্মানিত আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, জাগপা মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে.এম রকিবুল ইসলাম রিপন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ-সভাপতি এ্যাড. হাবিবুর রহমান, এ্যাড. আফতাব হোসেন মোল্লা, অতিরিক্ত মহাসচিব কাজী এ.এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, কেন্দ্রীয় নেতা শেখ এ সবুর, খোন্দকার জিল্লুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গনী, মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, এ্যাড. মুস্তাফিজুর রহমান, আলমগীর জলিল, শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/