• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ছিল ধর্মীয় ভাবাবেগের চরম সুড়সুড়ি

Reporter Name / ২৪৪ Time View
Update : শনিবার, ১ জুন, ২০২৪

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :  ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ মার্কার প্রার্থী মো: কামরুল হাসান খোকন বলেছেন, গত ২১ মে অনুষ্ঠিত সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনটি হয়েছে কতিপয় মেরুকরণের ভিত্তিতে। জনগণের ভোট বিমুখতা ও ধর্মীয় মেরুকরণের মধ্যদিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন ছিল ধর্মীয় ভাবাবেগের চরম সুড়সুড়ি।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব এর আধুনিক ভিআইপি হলরুমে আয়োজিত নির্বাচন পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন অশুভ রাজনীতির বৃত্তবলয়ের পৃ্ষ্ঠপোষক গণের আসন ধরিয়া রাখার মরিয়া প্রয়াস। আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতৃত্বের একটি অংশের রাজনৈতিক, ব্যবসা বাণিজ্যের অশুভ মৈত্রী (সিন্ডিকেট বলে পরিচিত অংশ)। প্রভাবশালী দলীয় রাজনীতিবিদদের গরিষ্ঠ অংশের এক প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি অবস্থান।

অপরদিকে দলীয় অন্য আরেক প্রার্থীর পক্ষে কতিপয় ধর্মীয়, সামাজিক, সুবিধা ভোগী সংগঠনের সরাসরি অবস্থান গ্রহণ করায় সার্বিক অর্থে “উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪” ধমীয় বিভাজন ও অশুভ রাজনীতির বৃত্তবলয়ের আধিপত্য ধরে রাখার এক লড়াই । যেখানে সাধারণ জনগণ ভোটারগণ কার্যত উপেক্ষিত রয়ে গেলেন।

ভোটের দিন ১২৫ টি ভোটকেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত ধর্মভেদে এক জনগোষ্ঠীর ভোটারদের উপস্থিতি, মাঝের সময় দায়সারা গোছের ভোটারদের উপস্থিতি, বেলা ১টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত ধর্মভেদে অপর অংশের ভোটারদের উপস্থিতি নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের ভাবনায় স্পষ্টত: ধর্মীয় মেরুকরণের আভাস পরিলক্ষিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ৪০ শতাংশ ভোট কেমন করে পরেছে এমন প্রশ্ন রাখেন উপস্থিত সংবাদ কর্মীদের সামনে, সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে কোন প্রার্থীর নির্বাচনী ও প্রচার অভিযানে সদর উপজেলা সার্বিক উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট কোন কর্ম পরিকল্পনার কথা আলোচিত হয়নি।

জনগণের সার্বিক দূর্ভোগ লাঘবে কিংবা স্মার্ট উপজেলা বিনির্মাণে কোন কর্মসূচী প্রার্থীদ্বয়ের পক্ষ থেকে ঘোষিত হয়নি। যা হয়েছে তা হলো এক প্রার্থী আরেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাঁদা ‍ছোঁরাছুরি, বিষোদগার, অশ্লীল, অশালীন বাক্যবানের ছড়াছড়ি।

কামরুল হাসান বলেন ভোটারগণ ভোট প্রদান না করলে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ, টিসিবি ও ডিলারশীপ প্রদানের ক্ষেত্রে ভয়ভীতি প্রদর্শণের বিষয়টি জনসন্মুখে উঠে আসে।

তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে সরকার এবং সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃৃপক্ষ এবং জনপ্রতিনিধির কাছে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কৃষি ভিত্তিক শিল্প কল-কারখানা, শষ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজান করণের জন্য বিশেষায়িত হিমায়িত কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা ।

১৯৭৩ সালে নিকারের বৈঠকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গড়েয়া ইউনিয়নকে পুলিশি থানা গঠন নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন ঠাকুরগাঁও সদর মহকুমায় নতুন থানা গঠনের প্রয়োজন হলে গড়েয়া ইউনিয়নকে প্রধান্য দেওয়া হবে। গড়েয়ার সীমান্তে রয়েছে দিনাজপুর, পঞ্চগড় এবং নীলফামারি জেলা। সে কারণে গড়েয়াকে থানায় রুপান্তর করা।

জনগণ এবং বিশেষ করে চাষিদের দূর্ভোগ কমিয়ে আনতে সকল কাঁচা রাস্তা পাকা করার উদ্যোগ গ্রহণ করা ।

হাসপাতাল গুলোতে মাদ্রক নিরাময় কেন্দ্র এবং রিহ্যাব সেন্টার চালু করা। কর্মমুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। বিদেশে জনশক্তি প্রেরণের ক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে ন্যায় ও সাম্যতার ভিত্তিতে বিবেচনা করাসহ বেশকিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন ।

সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com
https://slotbet.online/
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com