নিজস্ব প্রতিবেদক
ঠাকুরগাঁও : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে শুরু হয়েছে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের দৌড়ঝাপ। বিশেষ করে সম্ভাব্য প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের কথা জানান দিচ্ছেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিজেদেরকে তুলে ধরার চেষ্টা করচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এছাড়াও দলীয় মনোনয়ন পেতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছেও ধরনা দিচ্ছেন অনেকে।
ঠাকুরগাঁও–১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন যোগ্য, স্মার্ট ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমৃত্যু সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জননেতা মরহুম খাদেমুল ইসলামের দ্বিতীয় ছেলে সাহেদুল ইসলাম সাহেদ। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের হয়ে দুবাইয়ে মিনিস্টার এন্ড ডেপুটি কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি বিশ্বের অনেক দেশে সুনামের সহিত দূর্তাবাসের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাহেদুল ইসলাম সাহেদের জন্ম ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে সে তৃতীয়। শিক্ষা জীবন শুরু হয় ঠাকুরগাঁও থেকে। শহরের সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ সালে এসএসসি পাশ করার পর ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ হতে ১৯৮৯ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগে অনার্স এবং মার্ষ্টাস ডিগ্রী লাভ করেন। ছাত্র জীবনে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং বিভিন্ন দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকায় আ’লীগের নেতা–কর্মী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচী তুলে ধরে ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়নসহ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিভিন্ন স্থরের মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করছেন।
তিনি পিতার আদর্শকে ধারণ করে প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন আওয়ামীলীগ সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ এবং তিনিও চান প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় যোগ্য, স্মার্ট ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থী মনোয়ন দেওয়া।
তিনি ১৯৯৬ সালে বাবার মৃত্যুর পর জাপানের টোকিওতে গিয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি বাংলাদেশ দূর্তাবাসে কাজ শুরু করেন। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর একদিকে বাবার পরিচয়, নিজে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত, অপদিকে শেখ হাসিনার নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ায় চাকুরিচ্যুত হন। বহুদিন কানাডায় নির্বাসিত ছিলেন।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে দেশে ফিরে আসেন এবং ২০১০ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। ২০১১ সালে নিউইর্য়কে প্রথম সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়ে পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে কাউন্সিলর, ডেপুটি কনসাল জেনারেল হিসেবে ৮ বছর চাকুরি করেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশে ফিরে আসেন এবং সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন আমার বাবা আওয়ামী লীগের শুরু থেকে রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি ১৯৬৬ সালে ৬ দফা দাবী, ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যূত্থান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং ১৯৭৫–এ বঙ্গবন্ধুকে স্ব–পরিবারে হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১৫ মাস কারা বরণ করেন। তিনি আরও বলেন নেত্রীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা ঠাকুরগাঁওয়ের রাজনীতি এবং নেতাদের সম্পর্কে জানেন। তাই বাবার আদর্শকে লালন করে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই, যদি নেত্রী দলীয় নমিনেশন দেন।
https://slotbet.online/