ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা তিন ঘন্টা ৩০মিনিট পৌরসভা সহ চারটি সরকারি দফতরের প্রবেশ মুখ অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় সেবা গ্রহীতারা সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
বৃধবার (৩১ জুলাই) ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং পৌরসভা গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন শহরের কোকিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কে দিয়ে চারটি অফিসে যায় সেবা গ্রহীতা। প্রথমে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস, এর পাশে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, পাশে রয়েছে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র (মাতৃসদন) এর পরে পৌরসভা ।
সদর উপজেলার নারগুন গ্রামের মাসুমা বেগম বলেন, তিনি তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মাতৃসদনের যেতে পারেননি। তার কথা কেড়ে নিয়ে সালন্দর গ্রামের জোবাইদা বলেন তিনি শহরের চৌরা¯তা থেকে ঘুরে বাড়ি চলে গেছেন । উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন আন্দোলনকারীরা পথরোধ করে ছিলেন বলে আমি অফিস থেকে ফিল্ডে যেতে পারিনি। শহরের গোয়াল পাড়ামহল্লার রওশন আরা বলেন তিনি তার স্মামীর মৃত্যু সনদ নিতে পারেনি ।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে শিক্ষার্থী-জনতা নিহত হওয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে ঠাকুরগাঁও আদালত ও পৌরসভার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাঁরা এ কর্মসূচি শুরু করে বিকাল তিনটায় শেষে করেন।
আন্দোলন কারীরা সকাল ১১ টার দিকে শিক্ষার্থীরা ঠাকুরগাঁও অপরাজয় ৭১‘ এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এরপর ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীসংখ্যা বাড়লে স্লোগান শুরু হয়। এ সময় আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বৈষ্যম বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে অপরাজয় ৭১‘ থেকে মিছিল নিয়ে আদালত অভিমুখে আসতে থাকে। বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে শহরের কোকিল প্রাইমারী স্কুল ও পৌরসভার মূল ফটক অতিক্রম করে আদালতে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে আইনশৃংখলা বাহিনী প্রথমে তাদের থামিয়ে দেয় ।
ঠাকুরগাঁও থানার ওসি এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আদালত অভিমুখে ঢোকার চেষ্টা করে। আমরা তাদের বুঝিয়ে শান্ত করি|
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/