ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে থামছে না, হামলা লুটপাট, ও সহিংসতা। সন্ত্রাসীরা ক্লাস সৃষ্টি করে এলাকায় ভয়-ভীতি ছড়িয়ে দিয়েছে। তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি সংবাদকর্মীরাও।
ঠাকুরগাঁও সদর, পীরগঞ্জ, রানীসংকৈল, হরিপুর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি-ঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুট-পাঠ করেছে একদল সন্ত্রাসী।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইমদাদুল হক ও পীরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র কশিরুল ইসলামসহ তৃণমূল অনেক নেতা কর্মীর বাড়ি-ঘর ভাঙচুর এবং অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এদিকে পীরগঞ্জ ও রাণীসংকৈল উপজেলায় হিন্দুদের কালী মন্দির ভাঙচুর করেছে একদল সন্ত্রাসী।
হামলা ভাঙচুর লুটপাটের ঘটনায় শত শত হিন্দু পরিবার এলাকা ছেড়ে যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন হিন্দু বৌদ্ধ খিৃষ্ট্রান ঐক্য পরিষদের ঠাকুরগাঁও জেলা সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সমর কুমার চ্যাটার্জী ও ধর্মগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বলেন বর্ষালু পাড়া, জগদল, মরাগতি সহ বিভিন্ন সীমান্তে প্রায় ৯ থেকে ১০ হাজার হিন্দু নারী-পুরুষ দেশ ছেড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
রাণীশংকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান জগদল সীমান্ত গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে হিন্দু পরিবারগুলোকে ফিরে আনার চেষ্টা করছেন।
অপরদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে বিএনপির মহাসচিব মিডিয়া ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর ছোট ভাই নিজে ফয়সাল আমিন দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সভা করেছেন। মিটিংয়ে তিনি নেতাকর্মীদের এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। এর পাশাপাশি রাণীসংকৈল উপজেলায় জামায়াতে ইসলাম হিন্দু পরিবারগুলোর পরিবারের সদস্যদের মিটিং ডেকে আশ্বস্ত করেছেন।
পীরগঞ্জ উপজেলা খিৃষ্টান এসোসিয়েশনের নেতা বিষ্ণু দেব শর্মা বলেন সংখ্যালঘু পরিবারগুলো ভয় ভীতির মধ্যে দিন অতিক্রান্ত করছেন।
ইতিমধ্যে কে কেউ এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন নিরাপদে। এদিকে আদিবাসী পরিষদের নেতা যাক ব খালকো বলেন সাঁওতাল উড়াও ও অন্যান্য ক্ষদ্র জনগোষ্ঠী পরিবারগুলো প্রাণের ভয়ে রাত জেগে বাড়িঘর পাহাড়া দিচ্ছেন। ভয় যেন তাদের পিছু ছাড়ছে না।
সাঁওতাল গৃহবধ লক্ষ্মী হাঁসদা বলেন একটি দুষ্ট শ্রেণীর লোক তাদের এলাকায় হানা দিতে পারে বলে ভয়ে আছেন তারা।
ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও এস এ টিভির জেলা প্রতিনিধি জাকির মোস্তাফিজ মিলু বলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর মানুষ যখন বিজয়ের উল্লাস করছিল। ঠিক সে সময় আমরা ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্রের বাড়িতে অগ্নি সংযোগের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমার দুই সহকর্মী জিটিভির জেলা প্রতিনিধি ও বাংলাভিশনের জেলা প্রতিনিধিকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। আমরা সেখানে সংবাদ সংগ্রহের কাজ করছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রামদা, লোহার রড় নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে এবং আমাদের মোবাইল সেট ভাংচুর ও গাড়িতে অগ্নি সংযোগ করে।
তিনি আরও বলেন এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, সেই সাথে হামলাকারিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্ট্রান্তমুলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/
[…] শান্তি মিছিল ঠাকুরগাঁওয়ে জরুরী সভা থামছে না হামলা-লুট তরাজ, কয়েকশো হিন্দু… সংবাদভিত্তিক তিনটি বেসরকারি […]