• বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে পেশাদার হিসেবে গড়ে তোলা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  পার্বতীপুরে বিদ্যুৎ লাইনের ট্রান্সফরমার চুরি, সেচ ব্যাহত বিএনপি কখনো সত্যের পথ থেকে সরেনিঠাকুরগাঁওয়ে-মির্জা ফখরুল অন্তবর্তীকালীন কমিটি’র আহবায়ক তৈয়ব ও সদস্য সচিব শাহ আলম ঠাকুরগাঁওয়ে যুবদলের নামে চাঁদা দাবি, আটক ৩ যুবলীগ কর্মী খুলনায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দূর্নীতির ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি- ঠাকুরগাঁওয়ে মামুনুল হক ঠাকুরগাঁওয়ে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন-আটক-১ যে হাসিনাকে ১৬ বছরে পতন করাতে পারেননি, আমরা তা পেরেছি -সারজিস আলম ভারতে বিজিবি-বিএসএফের বৈঠকে : বাংলাদেশের কড়া প্রতিবাদ

৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

Reporter Name / ৩০৫ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০২৪

টাঙ্গন ডেস্ক : ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ রায়ের (পিআরএল ভোগরত) বিরুদ্ধে ৪০ লাখ টাকা আতœসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করেছেন আব্দুর রহমান নামে এক অভিভাবক।

দুদকে অভিযোগ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঠাকুরগাঁওয়ের উপ-পরিচালক তাহসিন মুনাবীল হক।

অভিযোগে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ রায় ওরফে ভয়ংকর বিশু ২০২৪ সালের জানুয়ারি হতে এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফান্ড হতে ৪০ হতে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই টাকা তিনি রংপুরে নির্মাণাধীন বাড়ীতে খরচ করেছেন।

দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তিনি বিদ্যালয়ের সবগুলো ফান্ড এখন শূন্য প্রায়। বিদ্যালয়ের মাস্টার রোলের কর্মচারী ও মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জেনের বেতন দিতে পারছেন না বর্তমান প্রধান শিক্ষক। এছাড়াও সততা প্রেস, বুক সেন্টার, মানিক ডেকোরেটরসহ আরো অনেক ব্যবসায়ীর বিদ্যালয়ের নিকট পাওনা আছে। বিদ্যালয়টির চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী জুয়েল ইসলামের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সব টাকা উত্তোলন করেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরশহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সততা প্রিন্টিং প্রেস,তাতীপাড়ায় বুক সেন্টার ও চৌরাস্তায় অবস্থিত ডেকোরেশনের দোকানে বিদ্যালয়ের নামে কয়েক লাখ টাকা বকেয়া আছে।

বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মতাহার উল আলম বলেন, তিনি ফান্ডের টাকা থেকে কাজ করার কথা বলেছেন। তবে আমাকে ভাউচার জমা দেননি। আমি যখন চার্জ বুঝে নেই তখন বিভিন্ন ফান্ডে প্রায় ৮ লাখ টাকা পেয়েছি। ফান্ডে টাকা কম থাকায় মাষ্টার রোলে কর্মচারীদের বেতন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আর বিদ্যালয়ের কেনাকাটার অনেক বকেয়া রয়েছে বিভিন্ন দোকানে। আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ফান্ডিং বাড়ানোর জন্য।

অভিযুক্ত সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ অভিযোগটি ভিত্তিহীন। আমি বিদ্যালয়ের অনেক গুলো কাজ করেছি। বিদ্যালয়ের রাজা স্যার এসব বিষয়ে সবকিছু অবগত রয়েছেন। তাকে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবেন।

দুদকের জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক তাহসিন মুনাবীল হক বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি হেড অফিসে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বিদ্যালয়ের সভাপতি ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবর রহমান বলেন, আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে আমাদের কাছে প্রতিষ্ঠানের কোন ফাইল আসে না। সে কারনে এ বিষয়ে জানার বা বলার কোন সুযোগ নেই।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদের কেউ জানায়নি বা অভিযোগ করেননি। শুনেছি তিনি অবসরে চলে গেছেন। তবে অভিযোগের সতত্যা পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/