টাঙ্গন ডেস্ক : ঠাকুরগাঁও পুলিশ লাইন হাই স্কুল এন্ড কলেজের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বার বার অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে সোমবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ প্রদশর্ণ করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রধান শিক্ষক বলছেন ছাত্র-ছাত্রীরা কিছু দাবী দিয়েছে যে গুলো নিয়ে এসপি স্যারের সাথে কথা বলা হবে। ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার বলছেন তারা এসেছিল তাদের দাবীদাবা শুনেছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান করা হবে বলে জানালেন এই কর্মকর্তা। তবে বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও পুলিশের ব্যবস্থাপনায় ১৯৯৩ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি কলেজিয়েটে উন্নিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির ১০ জন শিক্ষকের মধ্যে ৮ জন এমপিও ভুক্ত এবং নন এমপিও ভূক্ত ২ জন। কর্তপক্ষের উদাসিনতায় নন এমপিও ভূক্ত শিক্ষকরা দীর্ঘ ২০ বছর পরেও আলোর মুখ দেখেননি। এতে করে তারা মানবেতর জীবন যাপন করে আসছেন।
বিদ্যালয়টিতে এক সময় প্রাথমিক লেভেলে প্রায় ৪০০ জন শিক্ষার্র্থী পড়ালেখা করলেও কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের পথে বসেছে। ১ম শ্রেণীতে ১ জন এবং ২য় শ্রেণীতে ২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন, সমস্যা গুলো হলো কম্পিউটার ল্যাব, সাইন্স ল্যাব না থাকা, ক্লাসরুম, মেয়েদের কমনরুম, স্যানেটারি, পদার্থ, জীববিজ্ঞান, রসায়ন ক্লাস না হওয়া, ক্যান্টিনসহ ব্যাপক অনিয়মের কথা তুলে ধরেন তারা।
অভিযোগ আছে বিদ্যালয়টিতে বিভিন্ন সময়ে বরাদ্দ আসলেও তার যথাযথ ব্যবহার না করে পকেস্থ করা , চলমান ৮ লক্ষ টাকার প্রকল্পের কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থীরা এক সময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন, স্লোগান গুলো হলো- নয় ছয় আর চলবে না, আমাদের দাবী মানতে হবে। এক দফা এক দাবী হেড স্যারের পদত্যাগ, অভিভাবকদের অসম্মান করা চলবে না, চলবে না।
পুলিশ লাইন হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ভবেশ চন্দ্র রায় বলেন শিক্ষার্থীরা কিছু দাবী নিয়ে আসছিল, আমি তাদের বলেছি। বিষয় গুলো এসপি সারের সাথে কথা বলে সমাধান করা হবে।
স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন ওটা আসলে বিক্ষোভ নয়, আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে শুনেছি। চারদিকে একটু ইয়া হচ্ছে তো। শিক্ষকদের সাথে কথা বলা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করা হবে। তবে বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/