মো: রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে এক অধ্যক্ষের আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল হয়েছে। এক ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর ওই আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি গত ১০ আগস্ট থেকে ফেসবুকে ঘুরপাক খেতে দেখা যাচ্ছে। আর এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন ছাত্র-জনতাসহ স্থানীয়রা। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. বদরুল হুদা।
তবে এ ঘটনাটি ভিত্তিহীন বলে দাবি কলেজ শিক্ষক বদরুল হুদার। এ ছাড়া একটি স্বার্থান্বেশী মহল বিষয়টিকে বানিয়ে প্রচার করে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে বলেও জানানা তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা, কলেজ শিক্ষার্থী ও অন্যান্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি কলেজের এক ছাত্রীকে পরীক্ষায় ভালো নম্বর দেওয়ার কথা বলে নিজের রুমে ডেকে নেন অধ্যক্ষ বদরুল হুদা। শুধু তাই নয়, তার বন্ধুর স্থানীয় একটি শিশু পার্কের খাস কামরায় নিয়ে গিয়েও ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েন। একই সঙ্গে ঘটনাগুলোর ভিডিও চিত্র মোবাইলের ক্যামেরায় ধারণ করে রাখেন তিনি।
আরও জানা গেছে, ভালো নম্বর দেওয়াসহ নানা প্রলোভনে কলেজের অন্যান্য ছাত্রীদের সঙ্গেও অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন এই অধ্যক্ষ। ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রেখে ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেইলও করতেন তিনি। এসব ঘটনার ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেট ও ফেসবুকে প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে তাদের সঙ্গে বারবার শারীরিক সম্পর্কে জড়ান।
লোক লজ্জার ভয় ও পরীক্ষার ভালো নম্বরের আশায় ভুক্তভোগী ছাত্রীরা কোনো প্রতিবাদ করতে পারেনি। এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে এলাকায় কানাঘুষা হলেও বদরুল স্থানীয় শিক্ষক হওয়ায় কেউ তেমন ভাবে প্রতিবাদ করতে সাহস করেননি।
তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে বদরুলের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তার অবাধ যৌন কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। আলোচনা-সামলোচনা হলেও এ বিষয়ে এখনো ব্যবস্থায় কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) কলেজের শিক্ষার্থীরা তার কেলেঙ্কারির প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি জানালে কলেজ থেকে দ্রুত সটকে পরেন তিনি। পরে কয়েক দিনের ছুটি চেয়ে দরখাস্ত লিখে পাঠিয়ে দেন বলে জানান পীরগঞ্জ সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সারাদেশ কলঙ্কমুক্ত হচ্ছে এই অধ্যাপকের নোংরামির চিত্র এখন ভেসে বেড়াচ্ছে। কলেজের পরিবেশ ঠিক রাখতে হলে তার পদত্যাগ জরুরি। আর পদত্যাগের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসক, শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধতনরা ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলনের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তারা।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান জানান, উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি আরো ভালভাবে খুতিয়ে দেখছে। ব্যবস্থা উদ্যোগ নেয়া হবে।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/
priligy precio Sakaguchi S, Vignali DA, Rudensky AY, Niec RE, Waldmann H