স্টাফ রিপোর্টার : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে ৬২ নং মাদারগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র চুরির ঘটনা ঘটেছে। নৈশ প্রহরীসহ স্কুল কর্তৃপক্ষের রহস্যজনক ভূমিকা ।
স্থানীয়রা জানায়, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের সময় প্রায় দু্ই কিলোমিটার এলাকায় বজ্রপাত নিরোধের জন্য একটি বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র স্থাপন করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বলে জানায়। কিন্তু সম্প্রতি ওই যন্ত্রটি চুরি যায়।
নিয়ম অনুযায়ী কোন বিদ্যালয়ের সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত বা চুরি হয়ে গেলে সেটার আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করেননি বলে জানা যায়।
ওই বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসি। তাদের দাবী তিনি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কি ভাবে চুরি হয় এটা আমাদের বোধগম্য নয়। বিষয়টি দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরীসহ স্কুল কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও নানান অভিযোগের কথা জানান তারা। অভিযোগ আছে রাতের বেলা ওই বিদ্যালয়ে বহিরাগতদের এনে নেশাসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম চালিয়ে আসছে সে।
অপরদিকে দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী হুমায়ুন কবির হানিফ দায়িত্বে অবহেলার কথা স্বীকার করে বলেন যেহেতু যন্ত্রটি চুরি হয়েছে, সেটি আমি স্কুলকে নিজের টাকায় কিনে দিতে চেয়েছি। কিন্তু যখন তাকে চুরির সাথে জড়িতদের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন তিনি অস্পষ্ট উত্তর দিয়ে বলেন, “আমি জানি, কিন্তু বলতে পারবো না।” কারণ এখানে রাতের বেলা এলাকার কিছু বখাটে ছেলে বিদ্যালয়ে মাঠে নেশা সেবন করে। আবার অনেকে মাদক কেনা বেচাও করে। এব্যাপারে কথা বলতে যাওয়াটাই আমার অপরাধ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা : সাহেরা বেগম বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র চুরির বিষয়ে বলেন বিষয়টি কয়েকদিন আগে জানতে পারি । এব্যাপারে আইনি প্রদক্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন যেহেতু দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী হুমায়ুন কবির কিনে দিতে চেয়েছেন সে জন্য আইনি প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ মো: মোকাদ্দেস ইবনে সালাম বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপরে পরে জানানো হবে।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/