ডেস্ক নিউজ : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখানপুখুরী ইউনিয়নের বাংরোড ভাটিয়াপাড়া গ্রামের বিলকিস বেগম নামে এক দরিদ্র নারীকে নির্যাতনের পর ওই নারীর পেটে থাকা আড়াই মাসের সন্তানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের প্রভাশালী যুবদল নেতা হবিবর রহমান হবির বিরুদ্ধে। কোন সূরাহা না পেয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন ভূক্তভোগী নারীর পরিবার। এ ঘটনার পর মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন হবিসহ স্থানীয় বিএনপি নেতারা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে বাংরোড ভাটিয়াপাড়া গ্রামে স্থানীয় যুবকদের উদ্যোগে “দক্ষিণ আরাজী গোপালপুর পল্লী উন্নয়ন ক্লাব” প্রতিষ্ঠা করা হয়। যার রেজি নং-১০২৮/৯৫। সেই ক্লাবের ৫ শতাংশ জমি দেখভালের জন্য ক্লাবের সদস্য সাইফুল ইসলামকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সাইফুল ইসলাম সেই জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে আসছেন।
কিন্তু চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর সাইফুল ইসলামের স্ত্রী সেই জমিতে কাজ করতে গেলে প্রতিবেশী যুবদল নেতা হবিবর রহমান হবি, তার ভাই আনিসুর রহমান ও কল্পনা বেগমের সাথে ফসল খেতের বেড়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায় তাকে একা পেয়ে বাঁশের খুটি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায় তার যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত খরন হতে থাকে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টে দেখা গেছে, ওই নারীর পেটে থাকা আড়াই বছরের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। সে হাসপাতালে ৮ দিন চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ্য হলে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গুরুতর অসুস্থ হলে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এভাবে প্রায় দেড় মাস হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিতে হয় ওই নারীকে কিন্তু এখনো পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারেনি। অর্থের অভাবে নিজ বাড়িতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।
মামলার আসামীরা হলেন, বাংরোড ভাটিয়াপাড়া গ্রামের মৃত তারা মিয়ার ছেলে হবিবর রহমান হবি (৪২), আনিসুর রহমান (৩৮) এবং হবিবরের স্ত্রী কল্পনা বেগম (৩৫)।
মামলার বাদি সাইফুল ইসলাম বলেন আমি গরীব মানুষ। আমরা কাজ করে ভাত খাই। হবি আমার স্ত্রীর উপর অত্যাচার করে পেটে থাকা সন্তান হত্যা করেছে। আমার স্ত্রী বিছানা থেকে উঠতে পারছে না। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য এখন হুমকি দিচ্ছে। আমি বিচার চাই। যুবদল নেতা হবিবর রহমান হবির সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অতুল প্রসাদ বলেন বিজ্ঞ আদালতের বিচারক বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশকে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিথুন সরকার বলেন এ্যাপারে ভূল্লী থানাকে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/