• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সংসারের হাল ধরতে চেয়ে নিজেই এখন বোঝা ; গুনতে হচ্ছে মৃত্যুর প্রহর! আজারবাইজানে কপ-২৯ সম্মেলনে ইএসডিওর সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত ২৬ নভেম্বর থেকে সাত দিনব্যাপী খুলনায় বিভাগীয় বইমেলা দেশকে এমনভাবে গড়তে চাই, জনগণই হবে সকল ক্ষমতার মালিক-প্রধান উপদেষ্টা সাফ ফুটবল জয়ী তিন কন্যাকে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের সংবর্ধনা যানজট নিরসনে হিলি পৌর প্রশাসকের মতবিনিময় ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল উন্নীতকরণের দাবিতে রাণীশংকৈল মানববন্ধন হিলিতে নিত্যপন্যের বাজার নিয়ন্ত্রন ও যানজট নিরসনে অভিযান বালিয়াডাঙ্গীতে করাতকল মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

নির্বাচনে সকল দলকে অংশগ্রহণের আহবান প্রধানমন্ত্রীর

Reporter Name / ২৯৪ Time View
Update : শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩

ঢাকা প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপিসহ দেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন যে, অপরাধ সংঘটন ও অগ্নিসংযোগের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে বিএনপির আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত। নির্বাচনের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) নগরীর তেজগাঁওয়ে দলের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “সবারই এগিয়ে আসতে হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে হবে।” বিএনপি-জামায়াত বিশেষ করে তাদের দ্বারা সহিংসতা ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যা ও জানমালের ক্ষতি সাধনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং তারপরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করা।

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতাংয় ভয় না পেয়ে নিয়ম মেনে যথাসময়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সময় মতো নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য তিনি দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এবং তাদের পছন্দের সরকার গঠনের জন্যই এ নির্বাচন। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশী তাকে ভোট দেব- স্লোগান দিয়ে – আপনারা ভোট দিন। যুব সমাজের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মান করেছে এবং এখন সবাই এর সুফল পাচ্ছে। এখন তার সরকার আগামীতে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় রয়েছে। “আমরা আশা করি যে, তরুণদের সহযোগিতা নিয়ে এটি করতে পারব।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, যারা খুন করেছে এবং সাধারণ মানুষকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে তাদের ভোট দিতে কেন জনগণ যাবে এবং জনগণ কেন তাদের ওপর আস্থা রাখবে? তিনি আরো বলেন, জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না, কারণ তারা খুনি ও ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত।

নির্বাচন জনগণের অধিকার এবং এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় এসেছে এবং জনগণ ভোট দেবে। কারো সাহস থাকলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনসমর্থন থাকলে তারা ম্যান্ডেট পাবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণ ভোট দিয়ে যে দলকে নির্বাচিত করবে সেই দলই সরকার গঠন করবে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জনগণের ওপর আস্থা রাখতে ব্যর্থ হয়ে তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও অর্থনৈতিক নীতি নিয়ে দেশ পরিচালনা করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃণমূলের জনগণই তার সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দু।
তিনি বলেন, ” বিগত ১৫ বছরে আমরা সফলভাবে বাংলাদেশে একটি আমূল পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়েছি। তিনি আরো বলেন, তার সরকার ২০০৯ সাল থেকে জনগণের সেবা করে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, আমরা জনগণের সেবা করেছি ও তাদের অধিকার নিশ্চিত করেছি বলেই আজ আওয়ামী লীগ ও আমাদের ওপর জনগণের আস্থা রয়েছে। ফিলিস্তিনি হাসপাতালে বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ওপর ইসরায়েলের বোমা হামলার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তার সরকার ফিলিস্তিনিদের জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠিয়েছে।

বিএনপি ও জামায়াতের নাম উল্লেখ না করে তিনি এ প্রসঙ্গে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নিপীড়নের প্রতিবাদ না করায় দলগুলোর সমালোচনা করেন। তিনি আরও বলেন, “এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, আমরা এমন সব পক্ষের কাছ থেকে অনেক কিছুই শুনি যারা এই দেশে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা করে এবং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। এ বিষয়ে তারা কিছুই বলে না।

বাংলাদেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, এখন চরম ডানপন্থী ও চরম বামপন্থী দলগুলো তার সরকারকে উৎখাতের জন্য হাত মিলিয়েছে। তিনি বলেন, “এখন কারা তাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছে, সেটি একটি প্রশ্ন। এখন চরম বামপন্থীদের আর কোন আদর্শ নেই।

আওয়ামী লীগ প্রধান প্রশ্ন করেন, ‘আমাদের কী দোষ যে, আমাদের সরকারের পতন ঘটাতে হবে? বিএনপি ও তাদের জোট আবারও অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতা শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগুন নিয়ে খেলা এ বাংলাদেশের মানুষ কখনোই মেনে নেবে না।

তিনি আরও বলেন, আসলে তারা (বিএনপি) নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল। কিন্তু, তারা এই নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। বিএনপিকে নেতৃত্বহীন দল হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান না, বরং নির্বাচন বানচাল করতে চান।

গার্মেন্টস সেক্টরে নাশকতার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো সরকার দেশে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর জন্য কিছু করেনি। তিনি বলেন, তার সরকার এখন পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক মজুরি ৫৬ শতাংশ বাড়িয়ে ১২,৫০০ টাকা করেছে, তাদের বেতন বার্ষিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তারপরও আমরা ১৮-১৯টি কারখানা ভাংচুর হতে দেখেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

One response to “নির্বাচনে সকল দলকে অংশগ্রহণের আহবান প্রধানমন্ত্রীর”

  1. escape room says:

    Hello there, just became alert to your blog through Google,
    and found that it’s really informative. I’m going
    to watch out for brussels. I’ll be grateful if you continue this in future.

    Lots of people will be benefited from your writing. Cheers!
    Lista escape roomów

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com
https://slotbet.online/
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com