• বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে জর্দ্দার কারখানা, নেই নজরদারী শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন গোহাড়া হাইস্কুল হিলিতে ওএমএসের চাল নিতে দীর্ঘ লাইন হিলিতে অবৈধ করাতকলে অভিযান চালিয়ে দুই মালিকে জরিমানা তেঁতুলিয়ায় শৈত্যপ্রবাহে জরুরী সাড়াদান কর্মসূচীর পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা রুহুল আমিন গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় পথচারী বৃদ্ধ নিহত বিরামপুরে ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাকের চালক ও হেল্পার নিহত খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দকে বিএনপির অভিনন্দন ঠাকুরগাঁওয়ের দরিদ্র মাসুমা ও শ্রাবণীর পাশে দাঁড়ালেন র‌্যাব

ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে জর্দ্দার কারখানা, নেই নজরদারী

Reporter Name / ৮ Time View
Update : বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

টাঙ্গন ডেস্ক : অবৈধভাবে বিভিন্ন কোম্পানির স্টিকার ব্যবহার করে ঠাকুরগাঁওয়ে গড়ে উঠেছে ভেজাল জর্দ্দা তৈরির কারখানা। এ সব কারখানায় তৈরী হচ্ছে নামে বেনামে হরেকরকমের জর্দাসহ পান মসলা। যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি বলে মনে করছেন অনেকে। নেই কোন স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের নজরদারী।

সদর উপজেলার গড়েয়া সড়কের পাশে ভাঙ্গাপুল নামক এলাকায় গড়ে উঠেছে মের্সাস শরিফ কেমিক্যাল ওয়ার্কস। দেখে বুঝার কোন উপায় নেই, এটি একটি জর্দ্দার কারখানা। নেই কোন সাইনবোর্ড। ভিতরে প্রবেশ করে দেখা গেছে জর্দ্দা তৈরীর কেমিক্যালসহ নানা উপকরণ। আর এসব জর্দ্দার গাঁয়ে লিখা আছে হাকীমপরি, গোপাল, বাবা, শাহ্জাদীসহ হরেক রকমের জর্দ্দা। পান মসলায় উপরকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে খড় (ধানের)। আর এ সব জর্দ্দা আর পান মসলা হাত বাড়ালেই মিলছে ঠাকুরগাঁওশহরসহ গ্রামের বিভিন্ন হাট-বাজারে।

ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড সমবায় মার্কেটে পান ও জর্দ্দা ক্রয় করতে আসা পান পিপাসু হালিমা বেগম বলেন অর্জিনাল না ভেজাল, তা জানি না। এখন শরীরে কোন ঔষুধ কাজ করে না। তবে তিনি বলেন সিগারেট উঠায় দেওয়া উচিত, জর্দ্দা উঠায় দেওয়া উচিত। না থাকলে খাবো না, আছে বলে আমরা খাচ্ছি। পান পিপাসু মো: মিলন বলেন তামাক পণ্যই ক্ষতিকর, সবাই খাচ্ছে মুখের স্বাদ। তিনি বলেন মানুষ হাকমপুরী জর্দ্দার জন্য পাগল। অথচ এই জর্দ্দা বাজারে পাওয়া যায় না। এক কৌটা হাকিমপুরি জর্দ্দার দাম ৪৫০ টাকা। কিন্তু মানুষ খাচ্ছে হাকিমপরি জর্দ্দা, যা ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া যায়। মনাউন ইসলাম বলেন এসব পণ্যে সরকারের নজরদারী দেওয়া উচিত। তা না হলে মানুষ অনেক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জর্দ্দা ব্যবসায়ী বলেন মানুষ কি খাচ্ছে তা তো জানে না। মানুষ না জেনেই খাচ্ছে। পান মসলায় ব্যবহার করা হচ্ছে ধানের খড়। তবে প্রশাসনের দিক থেকে নজরদারী বাড়ানো উচিত। আরেক ব্যবসায়ী বলেন সবাই বিক্রী করছে তাই আমিও বিক্রী করছি। নিয়মনীতি বুঝি না।

ঠাকুরগাঁও জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো: মাহমুদুল কবির বলেন এটা স্বাস্থ্য বিভাগের কাজ, আমাদের কাজের মধ্যে পড়ে না। ঠাকুরগাঁও স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন ডা : নূর নেওয়াজ আহমেদ বলেন আগে অনুমোদন নিবে তার পরে কাজ করবে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ দিয়েছে হোটেলে কাজ করার সনদ, কারখানার অনুমোতির নয়। কারখানা নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ ঠাকুরগাঁও বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক মো: হাফিজুর রহমান বলেন পান মসলা বা জর্দ্দা শিল্পের মধ্যে পরে না। তবে যেটার অনুমোতি দেওয়া হয়েছিল সেটা শর্তসাপেক্ষে।

ঠাকুরগাঁওয়ে তামাক বিরোধী কাজ করেন বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসো জীবন গড়ি’র নির্বাহী পরিচালক মো : নবেল ইসলাম শাহ জানালেন এক ভয়াভয় চিত্রের কথা। তিনি বলেন উঠর্তি বয়সের বাচ্ছারা ধীরে ধীরে ধুমপায়ী হতে হতে মাদকাসক্ত হয়ে উঠছে। এর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জেলা তামাক বিরোধী ট্রাকফোর্স কমিটিকে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণের জানান তিনি।

৬-৭ বছর ধরে জর্দ্দা উৎপাদন করে বাজারে বিক্রী করেন মের্সাস শরিফ কেমিক্যাল ওয়ার্কসের মালিক শরিফুল হক বলেন ঠাকুরগাঁওয়ে এধরনের অনেক প্রতিষ্ঠান জর্দ্দা উৎপাদন করছে। যার কোন বৈধতা ছিল না। আমি এসে বৈধ করেছি। আমি সরকারকে ভ্যাট, ট্যাক্স দেই।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন সরকারের নিয়ম অপেক্ষা করে যদি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে থাকে, তাহলে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com
https://slotbet.online/
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com