• রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ইউপি ভূমি সহকারী কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্তে, কর্মকর্তা নিয়োগ ঠাকুরগাঁওয়ে সাপের কামড়ে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু আদিবাসীদের নিয়ে দিনব্যাপী ফুটবল টুনামেন্ট অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক চর্চার আরেক প্রাণ পুরুষ রবিউল আজম ঠাকুরগাঁয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মানবেতর জীবন বন্যার্তদের ৪ লাখ টাকা দিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের শিক্ষার্থীরা খুলনা জুট ওয়ার্কার্স ইনষ্টিটিউটের সম্পত্তি  রক্ষায় সভা অনুষ্ঠিত এমপি’র ছোঁয়ায় শত কোটি টাকার মালিক মুক্তা রাণী ! বন্যাদুর্গত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত নির্ধারণপূর্বক পুনর্বাসনের আহবান কৃষি উপদেষ্টার শত কোটি টাকার মালিক কে এই ন্যাংড়া স্বপন !

ঠাকুরগাঁওয়ে বীর নিবাস নির্মাণ কাজে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ক্ষোভ !

Reporter Name / ১৯৭ Time View
Update : শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্মাণাধীন ‘বীর নিবাস’ নিয়ে অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলীর পরিবার। কাজের ধীরগতি, সময় মতো কাজ শেষ না করা, আবার কোথাও কোথাও মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে নির্মাণ শ্রমিকদের খাওয়া বাবদ অর্থ আদায়, কাজের মানসহ নানা অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৫টি ‘বীর নিবাস’ নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের আগষ্ট মাসে। প্রতিটি ৩৩ ফুট বাই ২২ ফুট বীর নিবাস নির্মাণ কাজের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ টাকা। উপজেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ৭ জন ঠিকাদার ঘর নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ পায়। এর মধ্যে গোলাম রব্বানি ৫টি গৃহ নির্মাণ কাজের ঠিকাাদারি পায়।

সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দরপত্র অনুয়ায়ী ২০২২ সালের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু দেড় বছর গত হয়ে গেলেও রাস্তার অজুহাত দেখিয়ে নির্মাণকাজ এখনও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। ইউএনও অফিস, পিআইও অফিস ও ঠিকাদারের কাছে বার বার ধরনা দিয়েও কোন সুরাহা মিলছে না বলে জানায় ইয়াসিন আলীর পরিবার।

উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বলেন, ঠিকাদার বললেন গাড়ি ঢুকার মতো বড় রাস্তা নেই, মালামাল দূরে ফেলা হবে, যা কেরিং (বহন) করে নিয়ে যেতে হবে। যাতে এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ। এরপর আজকে লেট্রেন, কালকে অমুক, পরশুদিন তমুক দিবে বলে ঘুরাতে থাকে। এর মধ্যে স্বামী-স্ত্রী (মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রী) দুজনই মারা গেছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলীর ছেলে জুয়েল রানা ও তার ভাই বলেন দেড় বছর ধরে কাজ চলতেছে কিন্তু কাজ শেষ হচ্ছে না, মা মারা গেছেন, বাবা মারা গেলেন গত অক্টোবর মাসের ১৯ তারিখে। বাবা-মায়ের আশা ছিল প্রধানমন্ত্রীর উপরহার ‘বীর নিবাসে’ থাকবেন কিন্তু ঠিকাদারের অবহেলায় এই নিবাসে থাকা হলো না মা-বাবার। কাজও ভালো হয়নি, এখনই ওয়াল ভেঙ্গে যাচ্ছে, আকাশের পানি ভেতরে ঢুকছে।

বীর নিবাস পাওয়া আরেক মুক্তিযোদ্ধা দীপেন্দ্র নাথ বলেন যতদিন কাজ চলেছে ততদিন নির্মাণ শ্রমিদের খাওয়াতে হয়েছে, খাওয়া দিতে না পারলে টাকা দিতে হয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক গোলাম রব্বানী এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নজির বলেন কিছু কিছু অভিযোগ একেবারেই নতুন। কাজের মান এবং নিজের অর্থ ব্যায়ের বিষয়টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/