• বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঠাকুরগাঁওয়ে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নতুন কাপড় দিয়ে বৈশাখ বরুণ ঠাকুরগাঁওয়ে নানা উৎসব আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন চালু হচ্ছে ঠাকুরগাঁওসহ দেশের পরিত্যক্ত ৭ বিমানবন্দর গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে হাকিমপুরে বিক্ষোভ হরিপুরে জমি দখল নিয়ে দুপক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ, জারি ১৪৪ ধারা ঠাকুরগাঁওয়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ইসরাইলদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ খুলনায় ১১০ কেজি হরিণের মাংসসহ ১ জন আটক ঠাকুরগাঁওয়ে বৈরী আবহাওয়ায় শুরু হলো এসএসসি পরীক্ষা ঠাকুরগাঁওয়ে ত্রুটিপূর্ণসহ প্রবেশপত্র না পেয়ে দুশ্চিন্তায় ১৭ জন পরীক্ষার্থী

বড়পুকুরিয়ায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার নেপথ্যে ইউপি চেয়ারম্যান

Reporter Name / ১৮২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকায় জলাশয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় হামিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হকের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। আর এ ঘটনা তার নির্দেশে হয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা। এ ঘটনায় দুই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এলাকাবাসী জানায় জলাশয়টির মালিক নীতিগত ভাবে পেট্রোবাংলাধীন বড় পুকুরিয়ার খনি কতৃপক্ষ।

জানা গেছে, খনি বাস্তবায়নে দক্ষিণ দিকে জমি অধিগ্রহণ করায় কয়েকটি গ্রাম বিলীন হয়ে যায় এবং এক সময় বিলে পরিনত হয়। বিলে প্রাকৃতিক ভাবে মাছে ভরে যায়। ইউনিয়নটিতে আওয়ামিলীগের দাপুটে চেয়ারম্যান ও তার বাহিনী বিগত ১৬ বছর ধরে জলাশয়টি জবর দখল করে মাছ ধরে রংপুর বিভাগীয় শহরে বিক্রি করে আসছিল । কেউ তার প্রভাবে মুখ খুলতে পারতোনা।

প্রতিবছর সে ২২ থেকে ২৬ মন মাছ শিকার করে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (৭ এপ্রিল) চেয়ারম্যানের নির্দেশে এলাকার ত্রাশ শহীদ মিয়ার নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ যুবকদের মহড়ায় হাওলাদাররা বড় বড় জাল নিয়ে বিলটিতে নেমে মাছ ধরা শুরু করে।

এমন সময় পাতরা পাড়া গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মনডলের ছেলে মনিরুজ্জামান মনির ডাকে গ্রামবাসী মাছ ধরতে বাঁধা দেয় । এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায় দুজন গুরুতর জখম হয়।

পরে আহত আলামিন ও মনিরুজ্জামান মনিকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আসাদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে এখানে ক্ষমতার দাপটে মৎস্য সন্ত্রাস চলে চেয়ারমানের পেটেয়া বাহিনী দ্বারা। রহস্যজনক কারনে খনি কতৃপক্ষ নিরবতা পালন করে।

কয়লা খনির এমডি সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে বরাবরের ন্যায় তার সাড়া মিলেনি। এছাড়াও চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হকের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনিও ফোন রিসিভ থেকে বিরত থাকেন। তবে একটি সুত্র জানিয়েছে দাপুটে চেয়ারম্যান ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।

পার্বতীপুর মডেল থাবার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com
https://slotbet.online/
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com