নিহতের নাম মৌসুমি আক্তার (২৯)। তিনি দেবিদ্বার উপজেলার নবীপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। অন্যদিকে বাছির উদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সাহাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বাছির উদ্দিন একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। সেই সুবাদে তিনি মুরাদপুর উপজেলার উত্তর ত্রিশ গ্রামের আলাল মিয়ার বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়ায় থাকেন। শনিবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ বাজার থেকে পুঁটি মাছ কিনে বাসায় যান বাছির উদ্দিন। এসময় স্ত্রী মৌসুমি আক্তার মাছ কাটাতে পারবে না বলে সে মাছ স্বামীর মুখের ওপর ছুড়ে মারেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাছির উদ্দিন মৌসুমি আক্তারকে গলাচেপে ধরলে শ্বাসরোধ হয়ে তিনি মারা যান। পরে বাছির নিজেই মুরাদনগর থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে স্ত্রীকে হত্যার বর্ণনা দেন।
অভিযুক্ত বাছির উদ্দিন জানান, ৯ বছর আগে সে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন মৌসুমি আক্তারকে। তাদের সংসারে চার বছর বয়সী জমজ সন্তান রয়েছে। তবে স্ত্রীকে হত্যার কোনো পরিকল্পনা ছিল না তার।
বাড়ির মালিক আলাল জানান, দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে তারা আমার বাসায় ভাড়া থাকেন। আমার চোখে দেখা বাছির একজন ভালো মানুষ। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো পারিবারিক কলহ চোখে পড়েনি। কেন এ হত্যাকাণ্ড আসলে কিছুই বুঝতে পারছি না।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, বাছির উদ্দিন থানায় উপস্থিত হয়ে আমাকে জানান তিনি স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। প্রথমে তার কথা বিশ্বাস হয়নি। পরে খোঁজ নিয়ে জানি ঘটনা সঠিক। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।