কেন্দ্রীয় ইসলামী ছাত্র-শিবিরের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী মো: দেলাওয়ার হোসেন বলেছেন, আলেম ওলামাদের যারা নির্বিচারে হত্যা করেছে তাদের তাদের বিচার করা হবে। হত্যা ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকটি ব্যাক্তিকে শাস্তি পেতে হবে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বাংলার মাটিতে মুসলমানদের সামনে তাদের বিচার হবে। আগামী দিনে সংসদ ও আইন-বিচারালয় চলবে কোরআর দ্বারা। যখন আইন- বিচারালয় কুরআন দ্বারা পরিচালিত হবে তখনই সাধারণ মানুষ সু-বিচার পাবে।
শুক্রবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে জেলা জামায়াতে ইসলামী উলামা বিভাগের আয়োজনে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিলে উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা মো: ফজলে রাব্বী মোর্তজাবীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সহকারী সেক্রেটারী বলেন, পনের বছর যে সরকার (আওয়ামী লীগ) ছিলো তারা ইসলাম ধর্মকে ভালোভাবে নিতে পারতো না। এক কথায় তাঁরা ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রু। স্বৈরাচার সরকারের আমলে জামায়াতে ইসলাম উন্মুক্তভাবে কথাও মিছিল-মিটিং ও মাহফিল করতে পারেনি। কুরআন-হাদিসের কথা বলতে পারেনি। ঘরে ভিতরে কোরআন-হাদিসের বই রাখলেই জঙ্গি অপবাদ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর জেলখানায় আটক রেখে পাশবিক নির্যাতন চালাতো। আর যারা তাফসীরুল কুরআনের আয়োজন করতো তাদের কেউ রেহাই দেননি স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ।
শুধুমাত্র তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের অপরাধে, ন্যায় সঙ্গত কথা ও ইসলামের দাওয়াত দেওয়ায় মিথ্যা মামলা ও বন্দুকের নলের ভয় দেখিয়ে মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীকে জেলে আটকে রেখেছিলো। জালিম সরকারের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হয়েছে আল্লামা সাঈদীকে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ইসলামের শত্রু।
দেলাওয়ার হোসেন বলেন, ২০১৩ সালের ৫-ই মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতের নেতাকর্মীদের রাতের অন্ধকারে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের শীর্ষ পর্যায়ে আলেমদের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন চালিয়েছে আওয়ামী লীগ।
অন্যদিকে একই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক অধ্যক্ষ মাওলানা মো: মমতাজ উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশে কোন সরকারেই শান্তি বজায় রাখতে পারেনি। কিসে মানুষের শান্তি, মানুষ কি চাই সেটা কোন সরকারেই বুঝতে পারেনি। বিগতে দিনে যতগুলো সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিল তারা কেউ শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা মো: আব্দুল হাকিম, জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান, জেলা সেক্রেটারী মো: আলমগীর, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।
https://slotbet.online/