জেলা প্রতিনিধি
ঢাকা: সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নির্বাচিত সংখ্যক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে পাঁচজন সেনা, তিনজন নৌ এবং তিনজন বিমান বাহিনীর সদস্যকে ২০২২-২৩ সালের শান্তিকালীন পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালে ২৬ জন নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও ২০২১ সালে ৩৯ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাকে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে এবং ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে যেতে হবে। সেইভাবে শিক্ষা-দীক্ষায় প্রতিটি ছেলেমেয়ে যেন উন্নত জীবন পায়, আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যে কাজই করি সবসময় মাথায় রাখতে হবে, মুক্তিযুদ্ধ করেই বিজয় অর্জন করেছি। আমরা বিজয়ী জাতি। আর বিজয়ী জাতি হিসাবেই বিশ্বে অবস্থান করব, সেটিই আমাদের লক্ষ্য।’
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবার কল্যাণ কামনা করি, শান্তি কামনা করি। আমি জানি যে, অগ্নিসন্ত্রাস বা জ্বালাও-পোড়াও মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। আমি জানি না একটা মানুষ কীভাবে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারে? যেটা দেখেছিলাম ১৯৭১ সালে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এটি করত। বস্তিতে আগুন দিতো, মানুষ বের হয়ে এলে সাথে সাথে গুলি করে মেরে দিত।’
‘এরপর দুর্ভাগ্যের বিষয় হল ২০১৩ ও ২০১৪। আর এখন আবার সেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। কীভাবে একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে পোড়াতে পারে? পোড়া মানুষগুলির সেই ক্ষতবিক্ষত দেহ, তাদের আর্ত চিৎকার, তাদের পরিবার কি অবস্থায় আছে? এটাই হচ্ছে সবচেয়ে দুভার্গ্যজনক’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার সকালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
https://slotbet.online/