দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে দল জিতলেও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন পরিচিত নেতা নির্বাচনে হেরে গেছেন। তাদের কেউ কেউ হেরেছেন দলেরই স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে। কেউ আবার হেরেছেন অপেক্ষাকৃত অপরিচিত প্রার্থীদের কাছেও।
নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছেন কিন্তু জিততে পারেনি এমন পরিচিত নেতাদের মধ্যে আছেন বিগত সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।
এছাড়া আছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান মিয়া , টানা তিনবারের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।
তাদের পরাজয় নিজ নিজ এলাকা তো বটেই, জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে। যদিও স্থানীয়ভাবে এমন ফলাফলে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীকে হারানো সাভারে কে এই ইউপি চেয়ারম্যান ?
ঢাকা-১৯ আসনে (সাভার ও আমিন বাজারের একাংশ) ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুর রহমান পরাজিত হয়েছেন। এখানে তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগেরই সাবেক এমপি তৌহিদ জং মুরাদ।
রানা প্লাজার ভবন ধ্বসের পর সাভারের রাজনীতিতে উত্থান ঘটে এনামুর রহমানের। অনেকটা পেছনে পড়ে যান তৌহিদ জং। দশ বছর পর বেশ সাড়ম্বরে রাজধানীতে ফিরে এবার তিনি আলোচনায় এসেছিলেন।
কিন্তু ভোট শেষে দেখা যায় এখানে জিতেছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম। এ আসনে নৌকা তৃতীয় স্থানে। আর তৌহিদ জং মুরাদ ছিলেন দ্বিতীয় স্থানে।
ট্রাক প্রতীকের সাইফুল ইসলাম আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। স্থানীয়ভাবে পরিচিত হলেও তিনি সেভাবে কখনোই জাতীয় পর্যায়ে আলোচিত হননি।
আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে তিনি সংসদ সদস্যের জন্য প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। কয়েকটি পোশাক কারখানা আছে। জড়িত কনস্ট্রাকশন বিজনেসের সঙ্গেও।
মাদারীপুরে জয়ী স্বতন্ত্র নারী প্রার্থী মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপকে হারিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম। তাহমিনা বেগম নিজেও আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি। তিনি প্রায় ত্রিশ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম হারিয়েছেন নৌকার আব্দুস সোবহান গোলাপকে
মোসা. তাহমিনা বেগম একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন-৪১ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দীর্ঘদিন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
চাকরি জীবনে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। এলাকায় ভালো পরিচিতি থাকলেও জাতীয়ভাবে সেভাবে আলোচনায় আসেননি তাহমিনা বেগম। কিন্তু স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয়তা এবং সেই প্রভাব ধরে রেখেই নিবাচিত হলেন তিনি।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি তাহমিনা বেগম। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে অংশ নেন তিনি।
কয়েকটি সহিংসতার ঘটনায় এই আসনের নির্বাচন জাতীয় পর্যায়ে আলোচনায় উঠে আসে।
নির্বাচনী সহিংসতায় তাহমিনা বেগমের একজন কর্মী নিহত হলে তিনি এর জন্য আব্দুস সোবহান গোলাপের সমর্থকদের দায়ী করেছিলেন। যদিও আব্দুস সোবহান গোলাপ সেটা অস্বীকার করেছিলেন।
নৌকার প্রার্থী আব্দুস সোবহান গোলাপ একসময় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ছিলেন। মাদারীপুরের কালকিনিতে নির্বাচনী জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও। তবে শেষ পর্যন্ত এই আসনে তাহমিনা বেগমই বিজয়ী হন।
ইনু হারলেন কার কাছে ?
হাসানুল হক ইনু। জাতীয়ভাবে হেভিওয়েট নেতা। তার দল জাসদ হলেও নির্বাচন করেছেন নৌকা প্রতীকে।
কুষ্টিয়া-২ আসনের তিনবারেরর সংসদ সদস্য তিনি। তাকে ২৩ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিন।
কামারুল আরেফিন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় আশির দশক থেকে। শুরুতে ছাত্রলীগ, এরপর যুবলীগ করেছেন। তিনি মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। নির্বাচনের আগে ভোট করার জন্য তিনি মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছিলেন।
তিনি প্রথম নির্বাচনে অংশ নেন ২০১১ সালে। সেটা ছিলো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।
সেবার মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভোটে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে হন উপজেলা চেয়ারম্যান।
নতুন এক প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন হাসানুল হক ইনু
এরপর থেকেই স্থানীয় রাজনীতিতে তার সক্রিয়তা আরো বাড়ে। ২০১৮ সালে আবারো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে ভেতরে ভেতরে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে থাকেন।
হাসানুল হক ইনু নৌকার প্রার্থী হলেও আওয়ামী লীগের অনেকেই সক্রিয় ছিলেন কামারুল আরেফিনের পক্ষে। সংসদ সদস্যের লড়াইয়ে কামারুল আরেফিন এবারই প্রথম। নিজ এলাকার বাইরে তার সেভাবে পরিচিতিও ছিলো না।
নৌকায় কুপোকাত ‘কিংস পার্টি’র যে নেতারা
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম নাটকীয়ভাবে বিএনপি বলয় থেকে বেরিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বর্তমান এমপি জাফর আলম। জাফর আলম অবশ্য দলীয় মনোনয়ন পাননি। তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি অবশ্য নির্বাচনের দিন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃত্বে’ সৈয়দ ইব্রাহিমের পক্ষে ‘ভোট ডাকাতি ও এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার প্রতিবাদে’ নির্বাচন থেকে সরে যান তিনি।
ক্ষমতাসীন দলের একজন সংসদ সদস্যের এই ঘোষণা নিয়ে স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে বেশ আলোচনা তৈরি হয়। তবে সৈয়দ ইব্রাহিম জিতলেও ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তৃণমূল বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা নির্বাচনে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মাত্র তিন হাজার ১শ নব্বই ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন বিএনপি’র সাবেক নেতা তৈমুর আলম খন্দকার। অন্য দিকে বিএনপির সাবেক নেতা এবং তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মোবিন চৌধুরী দশ হাজার ৯শ ৩৬ ভোট পেয়ে সিলেট-৬ আসনে জামানত হারিয়েছেন।
তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপরাসন শমসের মোবিন চৌধুরী নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন
ফেসবুক সেলেব্রিটি’র কাছে প্রতিমন্ত্রীর হার
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী পরাজিত হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ‘পরিচিত মুখ’ সৈয়দ সায়েদুল হকের কাছে। যিনি সামাজিক মাধ্যমে ব্যারিস্টার সুমন হিসেবে বেশি পরিচিত।
তিনি হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে হারিয়েছেন।
ব্যরিস্টার সুমন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তিনি যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা। পেশায় আইনজীবী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে ‘বার অ্যাট ল’ সম্পন্ন করেন যুক্তরাজ্যে।
দেশে ফিরে যুক্ত হন আইন পেশায়। ২০১২ সালে নিয়োগ পান আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর হিসেবে। সেখান থেকে পদত্যাগ করেন ২০২০ সালে।
দেশের এবং এলাকার বিভিন্ন ইস্যু, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা-ব্রিজ নির্মাণ, ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সক্রিয় আছেন তিনি।
এসব বিষয়ে ফেসবুকে প্রচার করে বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন। এবার তিনি সংসদ সদস্য হলেন।
বরগুনায় চমক গোলাম সরোয়ারের
এবারের নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য আলোচিত ছিলেন বরগুনা-১ আসনে (সদর-আমতলী-তালতলী) আওয়ামী লীগের প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ (শম্ভু)। তিনি তিনবারের সংসদ সদস্য। এবার তাঁকে হারিয়ে জয় পেয়েছেন ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার।
গোলাম সরোয়ার টুকু বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ছাত্র অবস্থায় জড়িত ছিলেন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। বরগুনা সরকারি কলেজে দুইবার ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগেরও নেতা ছিলেন তিনি।
সর্বশেষ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি যে বিজয়ী হবে সেটা স্থানীয় অনেকের কাছেই ‘চমক’।
ব্যারিস্টার সুমনের মতো অনেকেই এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে চমক দিয়েছেন
মুন্সীগঞ্জে জয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর
মুন্সিগঞ্জ-৩ (মুন্সিগঞ্জ সদর-গজারিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস হেরেছেন। এই আসনে কাঁচি প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগেরই নেতা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল।
মৃণাল কান্তি দাস আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক। জাতীয়ভাবে পরিচিত এবং প্রভাবশালী নেতা।
অন্যদিকে মোহাম্মদ ফয়সাল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার দুইবারের মেয়র। মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেই এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।
দলে বড় কোনও পদে না থাকলেও মি. ফয়সাল মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দীনের বড় ছেলে। আর রাজনীতিতে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও পিতার রাজনৈতিক প্রভাব এবং ইমেজকে নির্বাচনে কাজে লাগাতে পেরেছেন তিনি।
মৃণাল কান্তি দাসকে নিয়ে এর আগে ‘সাম্প্রদায়িক গালাগালির’ অভিযোগের কারণে গণমাধ্যমে আলোচনায় এসেছিলেন মোহাম্মদ ফয়সাল।
নৌকার আরো যারা হেরেছেন
ফরিদপুর-৪ : এই আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো হেরেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাফর উল্যাহ। তিনি এবার আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো–চেয়ারম্যান ছিলেন।
তাকে টানা তৃতীয়বার হারালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান, যিনি নিক্সন চৌধুরী নামে ব্যাপকভাবে পরিচিত।
নিক্সন চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও তিনি এর আগে দুইবার বিদ্রোহী এবং এবার স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হলেন।
তিনি যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার। শেখ মুজিবের পরিবারের আত্মীয়। শেখ মুজিবের বড় বোন ফাতেমা বেগমের নাতি তিনি। নিক্সনের বাবা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী মাদারীপুরের শিবচরের সংসদ সদস্য ছিলেন।
আর তার ভাই নূরে আলম চৌধুরী জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ।
মানিকগঞ্জ-২ : এই আসনে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে গেছেন তিনবারের সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম।
এই আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু।
দেওয়ান জাহিদ আহমেদ একজন শিল্পপতি। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। এলাকায় সমাজসেবামূলক কাজেও জড়িত ছিলেন।
তবে এই প্রথমবারের মতো তিনি সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত নির্বাচিতও হলেন।
নির্বাচনে হেরে গেছেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ
যশোর ৫ : যশোরে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যও এবার ভোটে জিততে পারেননি। তিনি হেরেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলীর কাছে।
ইয়াকুব আলী জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি। প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়েই তিনি পরাজিত করেছেন টানা দুইবারের সংসদ সদস্যকে।
নেত্রকোনা-৩ : (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে পরাজিত হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। সেখানে দুই হাজারের কিছু বেশি ভোটে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার।
ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার সাবেক সংসদ সদস্য। পেশায় ব্যবসায়ী। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে। এর আগে ২০১৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
গাজীপুর-৫ : এই আসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ পরাজিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামানের কাছে। আখতারুজ্জামান ডাকসুর সাবেক ভিপি। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন।
তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ১৯৯৬ সালের নির্বাচন তিনি এই আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। দুই যুগেরও বেশি সময় পর আবারো তিনি সংসদে ফিরলেন।
এর বাইরে আরো বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা দলীয় প্রতীক নৌকায় নির্বাচন করেও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে গেছেন।
https://slotbet.online/