ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: “এসো মিলি প্রাণের উচ্ছ্বাসে” এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে দিনব্যপী অনুষ্ঠিত হয়েছে ঠাকুরগাঁও ৮৯ ব্যাচের মিলনমেলা।
সম্পতি মানব কল্যাণ পরিষদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ আয়োজন করে ঠাকুরগাঁও এসএসসি‘৮৯ ব্যাচ।
শুরুতেই দলে দলে বন্ধুরা সমবেত হয়ে নিবন্ধন করে পাঞ্জাবি-শাড়ি ও স্মারক গ্রহণ করে। পরে এক বর্ণাঢ্য মটর শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বড়মাঠ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে মহুয়া ও তিনটি পলাশ বৃক্ষের চারা রোপন করা হয়।
বৃক্ষ রোপন শেষে শোভাযাত্রাটি মানব কল্যাণ পরিষদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হয়। এরপর মানব কল্যাণ পরিষদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পৃথিবী ছেড়ে না ফেরার দেশে যাওয়া বন্ধুদের স্মরণে নিরবতা পালন করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন এসএসসি‘৮৯ ব্যাচের বন্ধু জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রো বাইলোজি বিভাগের অধ্যাপক ড.আনোয়ার খসরু পারভেজ সুমন, রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তারেক নূর মামুন, কারমাইকেল কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, নীলফামারী সরকারী কলেজের ইংরেজী বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক অচিন্ত্য কুমার বর্মন, ডিএমপি এর টিআই লুৎফুল আনাম সাগর, শিবগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক আব্দুল হামিদসহ দুই শতাধিক বন্ধু।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন নীলফামারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রাজিউর রহমান রাজু।
পরে বন্ধুদের আনন্দ দিতে প্রতিকী বিয়ের আয়োজন করা হয়। এতে বরপক্ষ ছিল বন্ধুরা এবং কনেপক্ষ ছিল বান্ধবীরা। বরযাত্রীরা পায়েহেঁটে গেলে গেট আটকে দেয় বান্ধবীরা। তাদের সেলামী পরিষোধ করার পর বরদের মূলমঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিন কনেকে নিয়ে অপেক্ষমান বান্ধবীরা বরদের ফুল ছিটিয়ে বরন করে নেন। এসময় এলাকার ঐতিহ্যবাহী বিয়ের গীতগাওয়া হয়। একই সময় মানব কল্যাণ পরিষদের অন্য মাঠে খেলা-ধুলার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেয় বন্ধুদের পরিবারের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের শরীর চর্চা শিক্ষক আনিছুর রহমান ও ঠাকুরগাঁওয়ের ক্ষ্যাতিমান ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব শিক্ষক মাসুদ রানা।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেয় বন্ধু, বান্ধবী ও পরিবারের সদস্যরা। সঞ্চালনা করেন সংগীত শিল্পী ও সুরোকার গোলাম সারোয়ার সম্রাট।
মিলনমেলায় যোগদান করতে আসা অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী সাঈদ চৌধুরী জানান, “ভার্চ্যুয়ালী মিলনমেলার কথা জানতে পেরে আমি চলে এসেছি। ছাত্রকালের বন্ধুদের সাথে দেখা করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে”।
ঢাকা থেকে আসা বন্ধু মুন্নি লায়লা জানান, “ ঢাকায় থাকলেও ঈদের ছুটিতে প্রতিবার শশুরবাড়ি মাগুরা যাই। বন্ধুদের সাথে দেখা হবে বলে চলে এসেছি। খুবমজা করলাম”।
আয়োজক কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান মিঠু জানান, “একমাস ধরে নিবন্ধনের কাজ করেছি। বন্ধুরা স্বর্তস্ফুর্ত নিবন্ধন করেছে এবং এসেছে বলে ভালো লাগছে”।
আয়োজক কমিটির সদস্য রেজওয়ানুল হক রিজু জানান, “ আমরা চেষ্টা করেছি মিলনমেলার ব্যতিক্রমি একটি রূপদিতে। আমরা হারিয়ে যাওয়া ১২ বার বন্ধুর ছবি সম্বলিত একটি গ্যালারী, স্কুল জীবন থেকে শুরু করে অনুষ্ঠান পর্যন্ত বন্ধুদের গ্রুপ ছবিগুলি নিয়ে একটি গ্যালারী, গ্রামের ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও রং কাগজ দিয়ে বিয়ের গেট, পালকী ও ফটোশেসন গ্যালারী তৈরী করেছি। বন্ধরা সারাদিন ছবি তুলেছে, আড্ডা দিয়েছে দেখে ভালো লাগছে”।
মিলন মেলায় প্রস্তুতি পর্ষদের আহবায়ক রাকিবা ইয়াসমিন জানান, “বন্ধুরা একমাস ধরে কাজ করেছে। অনেক বন্ধু বন্ধুত্বের টানে দূরদুরান্ত থেকে ছুটে এসেছে দেখে খুব ভালো লাগছে। কত বন্ধুর সাথে দুই-তিন যুগপর দেখা হলো। সবাইকে একত্রিত করতে পারাই মিলনমেলার স্বার্থকতা”।
https://slotbet.online/
Hi there, just became alert to your blog through Google, and found that it is really informative.
I am going to watch out for brussels. I’ll
be grateful if you continue this in future. Lots of people will be benefited from your writing.
Cheers! Escape room lista
Muchas gracias. ?Como puedo iniciar sesion?