ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে তুলা চাষ সম্প্রসারণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের লক্ষ্যে সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের হরিহরপুর গ্রামে কৃষক র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারী) দুপুরে তুলা উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরগাঁও জোনের আয়োজনে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তুলা উন্নয়ন বোর্ড রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জাফর আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের উপ-পরিচারক সিরাজুল ইসলাম, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তুলার গবেষণা উন্নয়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্পের পরিচালক ড. এ কে এম হারুন অর-রশিদ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তুলা উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরগাঁও জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার, তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা পহিদা বেগম, কটন ইউনিট কর্মকর্তা স্বদেশ চন্দ্র রায় প্রমুখ।
প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা সেলিনা আকতার বলেন গত বছর মন প্রতি তুলার দাম ছিল ৩ হাজার ৯’শত টাকা। তবে এ বছর এর দাম পূণনির্ধারণ করা হবে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আমরা পেয়ে যাবো। এছাড়াও তিনি তুলা চাষের উন্নয়ন বিষয়ে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন।
তুলার গবেষণা উন্নয়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্পের পরিচালক ড. এ কে এম হারুন অর-রশিদ বলেন বাংলাদেশে ২৫০ জাতের ফসল চাষ হয়। তার মধ্যে তুলা একটি ফসল। তুলা চাষিদের বিদেশে বিভিন্ন ধরণের প্রনোদনা প্রদান করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে সে ভাবে সহযোগিতা করতে পারি না। তুলা গবেষণার ক্ষেত্রে গবেষকের সংখ্যাও অনেক কম। তার পরেও আমরা তুলা চাষের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যাক্রম হাতে নিয়েছি। আগামীতে কৃষকদের আরোও প্রনোদনা প্রদান করা হয়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনিয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের উপ-পরিচারক সিরাজুল ইসলাম বলেন তুলা অর্থকরী ফসল, গভীর মূলে ফসল। তুলা চাষে মাটির যে শক্ত স্থর আছে সেটা ভেঙ্গে দেয়। তুলা চাষে মাটির কোন ক্ষতি হয় না। বরঞ্চ মাটির উর্বরাশক্তি বৃদ্ধি পায়। জৈব সার তৈরী হয়। তুলা চাষে কৃষক লাভবান হতে পারে। অন্যান্য ফসলের তুলানায় তুলা চাষ লাভজনক।
রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জাফর আলী বলেন তুলা মানুষের তিনটি মৌলিক চাহিদা পূরন করে। তুলা থেকে বস্ত্র হয়, তুলা থেকে তেল হয় এবং তুলা চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। বাংলাদেশে মোট চাহিদার দুই ভাগ তুলা বাংলাদেশে উৎপাদন হয়। ৯৮ ভাগ তুলা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। সে জন্য তুলা উৎপাদন বাড়াতে হবে। অন্যান্য ফসল উৎপাদন করে কৃষকদের বাজারজাতকরণের চিন্তা করতে হয়। কিন্তু তুলা উৎপাদন করে সে চিন্তা করতে হয় না। তুলা নির্ধারিত দামে কৃষকের বাড়ি থেকে বিক্রী হয়। তিনি তুলা চাষে কৃষকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/