টাঙ্গন ডেস্ক : সারাদেশে যখন অস্থিরতা চলছে, মানুষের দৃষ্টিভঙ্গী অন্যদিকে ঠিক সে সময় ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সদর উপজেলার আখানগর উচচ বিদ্যালয়, মোলানী উচ্চ বিদ্যালয় ও রহিমানপুর আলিম মাদ্রাসায় ঘুষ বানিজ্য নিয়ে ব্যস্ত। আর ঘুষ বাণিজ্যের সাথে যুক্ত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন।
বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ৩ আগষ্ট মোলানী উচ্চ বিদ্যালয় ও রহিমানপুর আলিম মাদ্রাসা এবং ২ আগষ্ট আখানগর উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেই নিয়োগ পরীক্ষা গুলোতে রমেশ চন্দ্র সেন এবং নজরুল ইসলাম স্বপন (চ্যাংড়া স্বপন) নিয়োগ বোর্ডের সদস্য না হয়েও নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেন।
স্থানীয়রা জানায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় আওয়ামীলীগ সরকারের ১৬ বছরের শাসন আমলে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা গুলোতে সকল ধরনের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রভাব খাটান এই রমেশ চন্দ্র সেন। হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা। তার হস্তক্ষেপের কারণে নিয়োগ পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীরা ভালো রেজাল্ট করলেও তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
চিলারং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন, এই রমেশ চন্দ্র সেন এবং নজরুল ইসলাম স্বপন আমাকে নিস্ব করে ফেলেছে। আমি বউ বাচ্চাকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। সে ঠাকুরগাঁওয়ের মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা গুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দিয়েছে। এমন কথা বলেন অনেকেই।
মোলানী উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকুরী প্রত্যাশি মো: সাজু বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি নিয়োগ পরীক্ষার দিন ব্যাগে ২০ লাখ টাকা এমপি কে দিয়ে আসে এবং নজরুল ইসলাম স্বপনকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে আসে। একই কথা বলেন স্কুল ব্যবস্থপনা কমিটির অভিভাবক সদস্য সৈয়দ আলী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রধান শিক্ষক বলেন এমপি ও স্বপনকে টাকা না দিলে কোন নিয়োগ পরীক্ষায় অনুষ্ঠিত হতো না।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/