• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সংসারের হাল ধরতে চেয়ে নিজেই এখন বোঝা ; গুনতে হচ্ছে মৃত্যুর প্রহর! আজারবাইজানে কপ-২৯ সম্মেলনে ইএসডিওর সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত ২৬ নভেম্বর থেকে সাত দিনব্যাপী খুলনায় বিভাগীয় বইমেলা দেশকে এমনভাবে গড়তে চাই, জনগণই হবে সকল ক্ষমতার মালিক-প্রধান উপদেষ্টা সাফ ফুটবল জয়ী তিন কন্যাকে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের সংবর্ধনা যানজট নিরসনে হিলি পৌর প্রশাসকের মতবিনিময় ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল উন্নীতকরণের দাবিতে রাণীশংকৈল মানববন্ধন হিলিতে নিত্যপন্যের বাজার নিয়ন্ত্রন ও যানজট নিরসনে অভিযান বালিয়াডাঙ্গীতে করাতকল মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা না হলে স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না !

Reporter Name / ৬৫০ Time View
Update : বুধবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৪

ঢাকা প্রতিনিধি : ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পর মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে ১৯০৬ সালে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ গঠন এবং পূর্ববঙ্গের অনগ্রসর জনগণকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার উদ্দেশ্যে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা না হলে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করা খুবই কঠিন ছিল।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাজনৈতিক সংগঠন মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা স্যার সলিমুল্লাহর ১০৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার বেগমবাজারস্থ নবাব খাজা সলিমুল্লাহর কবর জিয়ারত শেষে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে দেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব প্রবীণ রাজনীতিবিদ কাজী আবুল খায়ের এ সব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আজকে ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য হিসেবে কাশ্মীরের ভাগ্য বরন করতে হতো। স্বাধীনতা অর্জনের সোপান তৈরির প্রতিটি ক্ষেত্রে নবাব সলিমুল্লাহর অবদান অনস্বীকার্য।

সলিমুল্লাহ ছিলেন ভারত উপমহাদেশের মুসলিম রাজনীতির প্রাণ পুরুষ। তাই এটাই স্বতঃসিদ্ধ যে, মুসলিম লীগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে খাজা সলিমুল্লাহই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মূল রূপকার এবং স্বপ্ন-পুরুষ। অথচ ইতিহাস থেকে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ’র নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে।

মুসলিমলীগের নেতারা বলেন অকৃতজ্ঞদের অনেকেই এখন বলার চেষ্টা করেন নবাব সলিমুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জমি দান করেছেন এরকম কোন প্রমাণ নেই। তার জন্ম-মৃত্যু দিবসে তাকে যথোপযুক্ত ভাবে স্মরণ না করা সবই এ ষড়যন্ত্রের অংশ। ইচ্ছে করলেই নবাব সলিমুল্লাহর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়।

নেতারা বলেন তিনি মুসলিম জাতিসত্তা চেতনা, উপমহাদেশে মুসলমানদের রাজনৈতিক ও শিক্ষা সচেতন করার কর্মকাণ্ডের মাঝেই আজীবন বেঁচে থাকবেন। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রাম আর আধিপত্যবাদ বিরোধী লড়াই যতদিন চলবে ততদিন নবাব সলিমুল্লাহ গোটা জাতির জন্য অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে।

তিনি ছিলেন নিপীড়িত বাঙ্গালী মুসলমানের মুক্তিদূত, এ অঞ্চলের অবহেলিত বিশাল জনগোষ্ঠীর উচ্চ শিক্ষা প্রসারের অগ্রনায়ক, দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ অগুনতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বপ্নদ্রষ্টা, আধুনিক ঢাকার রূপকার, ভারত বিভক্তির নেতৃত্ব দানকারী একমাত্র রাজনৈতিক সংগঠন মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা নবাব স্যার সলিমুল্লাহ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলীয় সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, এ্যাড. আফতাব হোসেন মোল্লা ও সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূর, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান ও কাজী এ.এ কাফী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল আলিম প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com
https://slotbet.online/
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com