নিজস্ব প্রতিবেদক
ঠাকুরগাঁও: ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিম এর আওতায় ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন কারিকুলাম বিস্তরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষনার্থী নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আখতার আজমের বিরুদ্ধে। আর অনিয়ম ঢাকতে ওই কার্যালয়ের কতিপয় কর্মকর্তা নগদ দিয়ে ম্যানেজের চেষ্টা করেন।
মাউশি’র বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ এর আলোকে প্রণীত ৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে পাঠ্যপুস্তক এর সাহায্যে শিখন কার্যক্রমে বিষয় ভিত্তিক জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে প্রশিক্ষক হতে আগ্রহী মাধ্যমিক শিক্ষকদের আবেদন করতে নির্দেশনা জারি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। সে মোতাবেক পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে প্রায় ১ হাজার জন শিক্ষক আবেদন করেন।
আবেদনকারিদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই শেষে মোট ৩৩০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে নির্বাচন করা হয়। যারা প্রশিক্ষণ শেষে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন। যার ভিত্তিতে একটি তালিকাও প্রস্তুত করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। যা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সরবরাহ করা হয়। সেই তালিকার ভিত্তিতে উপজেলা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ চলতি মাসের ২ নভেম্বর ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাল্টিপারপাস ভবনে আয়োজিত প্রশিক্ষণে সকলকে অংশগ্রহণের জন্য আহবান করেন। যা ২নভেম্বর থেকে শুরু করে ৮ নভেম্বর,২০২৩ পর্যন্ত চলবে।
কিন্তু কতিপয় শিক্ষক প্রশিক্ষণ কক্ষে এসে জানতে পারেন তাদের নাম পরিবর্তন করে অন্য শিক্ষককে অন্তভ‚ক্ত করা হয়েছে। আর এটা করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আখতার আজম একক সিদ্ধান্তে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিম এর আওতায় ঠাকুরগাঁওয়ে ৩৩০ জন শিক্ষককের ৭দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের জন্য যাতায়াত, আবাসন, প্রশিক্ষণ ভাতা ও অন্যান্য বাবদ বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৮৬ লাখ টাকা। মাথা পিছু প্রায় ২৬ হাজার টাকা।
প্রশিক্ষণের আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য খাওয়া ও অন্যান্য খরচ বাবদ পর্যাপ্ত বরাদ্দ ধরা থাকলেও যে খাওয়া সরবরাহ করা হচ্ছে তা নিম্নমানের।
প্রশিক্ষণ বঞ্চিত বিজ্ঞান শিক্ষক মুক্তিরাণী, আইসিটি শিক্ষক রঞ্জুয়ারা বেগম ও ইংলিশ শিক্ষক জুলফিকার আলী এ প্রসঙ্গে বলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের তালিকা অনুযায়ী আমাদেরকে আসতে বলা হয়। আমরা প্রশিক্ষণ কক্ষে এসে জানতে পারি আমাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কেন বাদ দেওয়া হয়েছে এ সম্পর্কে আমরা কিছ্ইু জানি না।
ঠাকুরগাঁও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আখতার হোসেনের কাছে সংবাদকর্মীরা এব্যাপারে তথ্য চাইতে গেলে তথ্য না দিয়ে উল্টো তার কার্যালয়ের কর্মচারীরা ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। পরে ওই কর্মকর্তার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
https://slotbet.online/
Very interesting subject, regards for posting.Raise your business