অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি শীত পড়তে শুরু করেছে। গ্রামের মানুষ এখন রাতে কাঁথা-কম্বল মুড়িয়ে ঘুমায়। রাজধানীতেও শীত শীত অনুভূত হলেও পরজীবী নেতারা ঘামছেন। আন্দোলনের মাঠ থেকে হঠাৎ ক্ষমতাসীনদের ‘মুরগি’ হয়ে যারা নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কেনাবেচার নেতাদের কেউ ‘নৌকায় চড়ে এমপি’ হতে এবং কেউ ‘আওয়ামী লীগের দয়ায় সমঝোতার এমপি’ হওয়ার খায়েশ নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু কেউ এখনো এমপি হওয়া এবং নৌকা প্রতীকের নিশ্চয়তা পাননি।
গত দু’টি নির্বাচনে নৌকায় চড়ে এমপি মন্ত্রী হয়েছেন এমন পরজীবী বাম নেতারা যেমন নৌকার নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না; তেমনি যারা এমপি হওয়ার লোভে পড়ে হাট-বাজারে কেনাবেচার মধ্যেমে ‘মুরগি’ হয়ে নির্বাচনের যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তারাও এখনো ‘আসন’ নিশ্চয়তা পাননি। বরং এমপি-মন্ত্রী হওয়ার খায়েশে যারা নির্বাচনে গেছেন তাদের বেশির ভাগই নির্বাচনী এলাকায় যেতে পারছেন না। কাউকে এলাকার লোকজন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে; কাউকে ঠেঙ্গিয়ে বিদায় দেয়ার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
আন্দোলনের মাঠ থেকে নির্বাচনের মাঠে ঝাপিয়ে পড়া নেতাদের প্রসঙ্গে গণ অধিকার পরিষদ একাংশের সভাপতি নুরুল হক বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো ‘পাতানো’ নির্বাচনে গণ অধিকার পরিষদ যাবে না। ‘পাতানো নির্বাচনকে বিদেশিদের অংশগ্রহণমূলক’ দেখাতে ক্ষমতাসীনরা রাজনীতির মাঠে কোরবানির হাট বসিয়েছে। এই কোরবানির হাটে কিছু রাজনীতিবিদ গরু-ছাগলের মতো বিক্রি হচ্ছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপি মূলত জন সমর্থিত রাজনৈতিক দল। দেশে এবং আন্তর্জাতিক মহল এই দুই দলের নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে কার্যত মনে করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। কিন্তু বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংবিধানের দোহাই দিয়ে পাতানো নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক মহলকে ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে’ দেখানের লক্ষ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কিছু সুবিধাবাদী নেতাকে এমপি-মন্ত্রী হওয়ার লোভ দেখিয়ে ‘মুরগি’ বানিয়েছে। গ্রামে বাসায় মেহমান এলে জরুরিভাবে জবাইয়ের জন্য গেরস্থবাড়িতে নানা কৌশলে মুরগি ধরা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির বর্জনের পর ক্ষমতাসীনরা এভাবেই মুরগি ধরার মতো কিছু রাজনৈতিক নেতাকে নির্বাচনে এনেছে।
ওই নেতারা এমপি-মন্ত্রী হওয়ার লোভে খুশিতে বাকবাকুম করে ধরা দিয়ে নির্বাচনে নেমেছেন। এমন নেতাদের মধ্যে রয়েছেন তৃর্ণমূল বিএনপির শমসের মোবিন চৌধুরী, অ্যাডভোটেক তৈমূর আলম খন্দকার, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির সাবেক নেতা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর। সর্বশেষ ‘মুরগি’ হয়েছেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। তিনি মুরগি হয়েই একেবারে নৌকায় উঠে বসেছেন। এছাড়াও ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নৌকায় চড়ে এমপি-মন্ত্রী হয়ে নিরাপদে ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের হাসানুল হক ইনু, শিরিন আক্তার, সাম্যবাদী দলের দীলিপ বড়ুয়াসহ কয়েকজন। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি মুহূর্তে এদের কেউ শান্তিতে নেই।
এমপি-মন্ত্রী হওয়ার খায়েশে নির্বাচনে গেলেও তারা এখনো নিজেদের আসন নিশ্চিত করতে পারেননি। কারণ আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যেই ২৯৮ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ফলে কেউ নৌকা নিশ্চিত করতে দেন-দরবার করছেন, কেউ অন্য মার্কায় প্রার্থী হলেও আওয়ামী লীগের অনুকম্পা চাচ্ছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ থেকে কোনো নিশ্চয়তা দেয়া হয়নি। ফলে নির্বাচনে গিয়ে একদিকে গণধিকৃত হয়েছেন অন্যদিকে নৌকায় ঠাঁইও মিলছে না।
গতকালও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন চলছে। যত বাধাই আসুক, গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত এ ট্রেন কোথাও থামবে না। বিএনপি দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৩০ জন সাবেক এমপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচনকে ঘিরে বহুদিন পর একটা উৎসবমুখর পরিবেশ সারাদেশে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে বিক্রি হওয়া সুবিদাবাদী নেতাদের আশঙ্কা আওয়ামী লীগ যে ভাবে দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে সে ভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যেতে পারে। ফলে তারা ‘বিক্রিত মাল ফেরত নেয়া হয় না’ মুদি দোকানের সতর্কবাণীর মতো পরিস্থিতিতে পরলেন কিনা বুঝতে পারছেন না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিক্রিত ‘মুরগি’ তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর। তিনি কারাগার থেকে বের হয়েই পরের দিন ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরই মধ্যে তাকে ওই জেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। গত মাসে গ্রেফতার হওয়ার আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিতিতে এক সভায় তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ‘অবতার’ হিসেবে অবিহিত করেছিলেন। কিন্তু কারাগারে বসেই শাহজাহান ওমর বিএনপি থেকে পল্টি দিয়ে নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়ে বের হয়ে আসেন। অতঃপর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন গ্রহণ করেন।
তিনি বলেছেন, জিয়াউর রহমানের চেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি অনেক ভাল হওয়ায় নৌকার প্রার্থী হয়েছি। নৌকার প্রার্থী হলেও ঝালকাঠির বিএনপির এবং রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন। ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ঝালকাঠি জেলা বিএনপিসহ কেন্দ্রীয় বিএনপি জঞ্জাল মুক্ত হয়েছে। শাহজাহান ওমরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতারাও তার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে। ক্ষমতাসীন দলটির স্থানীয় নেতারা শাহজাহান ওমরকে জুতাপেটা ও গণপিটুনি দিয়ে খেদিয়ে দেয়া হবে এমন ঘোষণা দিয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথম বিক্রিত মুরগির তালিকায় নাম লেখান বিএনপির চেয়াপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা শমসের মোবিন চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তারা তৃর্ণমূল বিএনপির নেতৃত্ব গ্রহণ করে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন। অতঃপর তিনশ’ আসনে প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দেন। শমসের মোবিন চৌধুরী সিলেট-৬ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি এখন পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় যেতে পারেননি। তৈমূর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন জমা দিলেও তাকে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনে প্রার্থী হতে বলা হয়েছে। ‘আসন ইস্যুতে’ তার বক্তব্য সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনরত ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ছিলেন কল্যাণ পার্টির মেজর (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম। হঠাৎ করে তিনি আন্দোলনের মাঠ থেকে পল্টি দিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন। নির্বাচনে অংশ গ্রহণের লক্ষ্যে তিনি ঢাকা-৫ ও ঢাকা-১৪ আসনের মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন। কিন্তু এসব আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। ফলে তিনি চট্টগ্রাম বিভাগের একটি আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এক সময়ের বাকশালের এমপি এবং পরবর্তীতে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির এমপি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বিএনপি থেকে ঝাঁপ দিয়ে হঠাৎ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) গঠন করেন। তিনি হালুয়া-রুটির লোভে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তার সঙ্গে আরো তিন জন সাবেক এমপি ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল ওহাব, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান শামসুল আবেদীন এবং বরগুনা-২ আসনের সাবেক এমপি আবদুর রহমান ওই দলের প্রার্থী হয়েছেন। শ্রমিক নেতা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর এক সময় ছিলেন আওয়ামী লীগে, পরে বাকশালে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য হন। ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে তিনি নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে। ২০০৩ সালে বিএনপিতে যোগ দেন।
২০০৫ সালে ফরিদপুর-১ আসনের উপ-নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য হন। মুরগির তালিকা দেখে ইসলামী ধারার কয়েকটি দলের নেতারা লোভ সংবরণ করতে পারেননি। তারাও (ইসলামী ধারার ৬টি দল) খেলাফত আন্দোলনের নেতা আল্লামা মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজির নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নির্বাচনে নামার ‘আবদার’ করেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে নির্বাচনে ‘আসন ভিক্ষা’ করলেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি। গণভবন থেকে বের হয়ে এসে দলগুলোর তিন/চারজন নেতা বিভিন্ন আসনে প্রার্থী হলেও অন্যেরা প্রত্যাশিত সুবিধা না পাওয়ায় নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন। এছাড়াও আরো কয়েকটি দলের নেতারা ‘যদি সমঝোতা করে আসন পাওয়া যায়’ সেই লোভে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
নির্বাচন নিয়ে গত ১৫ বছর ধরে নিরাপদে ছিলেন রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনুর দলের নেতারা। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নৌকায় চড়ে এমপি ও মন্ত্রী হন। আর সাম্যবাদী দলের দীলিপ বড়ুয়া টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী হন। গত ১৫ বছরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ওপর দিয়ে অনেক রাজনৈতিক ঝড় ঝাপটা গেছে। প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করতে হয়েছে। দেশি-বিদেশি নানামুখি চাপ সামাল দিতে হয়েছে। বিএনপির আন্দোলন এবং বিদেশিদের সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের চাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যখন বিপর্যয়কর অবস্থা হয়েছিল; তখনো মেনন-ইনুরা নিরাপদে থেকে এমপি-মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের ভাবখানা দেশি-বিদেশি চাপ মোকাবিলা করবে আওয়ামী লীগ আর তারা ১৪ দলীয় জোটের শরীক হিসেবে নিরাপদে থেকে এমপি মন্ত্রী হয়ে ‘ক্ষমতা ভোগ’ করবেন। এবার বেকায়দায় পড়ে গেছেন।
আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে ২৯৮ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ফলে শরীক দলের নেতা হিসেবে ইনু, মেনন, দীলিপ, বাদশা, শিরিন আক্তারদের নৌকায় চড়ে নির্বিঘ্নে এমপি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কুষ্টিয়ায় ইনুর আসনে প্রার্থী না দিলেও রাশেদ খান মেননের ঢাকায়, ফজলে হোসেন বাদশার রাজশাহী, শিরিন আক্তারের ফেনির আসনে নৌকার প্রার্থী দেয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য যে কয়টা আসনে জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির এমপি রয়েছেন সেগুলোতেও এবার নৌকার প্রার্থী দেয়া হয়েছে।
ফলে ১৫ বছর ধরে নৌকায় চড়ে এমপি-মন্ত্রী হয়ে ক্ষমতার হালুয়া-রুটি খেতে অভ্যস্ত এই নেতাদের এবার এমপি হওয়া অনিশ্চিত হওয়ায় রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, রাশেদ খান মেনন নৌকায় চড়ে নিজে এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন এবং স্ত্রীকেও সংরক্ষিত আসনে এমপি করেছেন। একইভাবে হাসানুল হক ইনু এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন এবং স্ত্রীকেও এমপি করেছেন। এবার তাদের সে সুযোগ দেয়া হবে না।
নির্বাচন নিয়ে গতকাল প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার ডামি প্রার্থী ও অনুগত দলগুলোর নির্বাচন হচ্ছে। এটা আসলে কোনো নির্বাচন নয়। এটা বাকশাল-২ বা একদলীয় একটা নির্বাচন। এই সাজানো নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী তাদের অনুগত দলগুলোর নেতারা।
আরএম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/