চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা কিছুতেই কমছে না। একটানা ২০ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় অব্যাহত রয়েছে। চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রার পারদে আজ উঠেছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। এখানে বাতাসে বইছে আগুনের ফুলকি।
এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১২ শতাংশ। আবহাওয়া অফিস বলছে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে চুয়াডাঙ্গা জেলায় এবারের তাপমাত্রা। গতকাল মঙ্গলবার ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেশের ও এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালের ২১ শে মে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তার আগে ২০০৫ সালের ২ জুন ৪৩ দশমীর ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ২০১২ সালের ৪ই জুন ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে অতি তীব্র দাবদাহে গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ। পানির স্থর নিচে নেমে যাওয়ায় চুয়াডাঙ্গা অধিকাংশ গ্রামে টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। আবার পানি দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না মাঠের সবজি আবাদ। শুকিয়ে যাচ্ছে সড়কের ধারের নিমসহ বিভিন্ন ফলজ ও বোনজ গাছসহ গাছের পাতা। মরছে মুরগি, গরু,ছাগল, ভেড়া, পুকুর খাল বিল ও নদীর মাছ। আর এই দাবদাহে সবচাইতে বেশি বিপাকে পড়েছে দিন মজুর খেটে খাওয়া রিক্সা ভ্যান চালকরা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, গত প্রায় ২০ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এছাড়া বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশী থাকায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। আজ বেলা ৩ টায় তাপমাত্র ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১২শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড: কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে হিট অ্যালার্ট মেনে চলতে। যেহেতু হিট স্ট্রোক হচ্ছে ও পশু পাখি মারা যাচ্ছে। সেহেতু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে কৃষি গবাদি পশু পাখির প্রতি যত্নশীল হতে হবে এই মুহূর্তে। তিনি আরো বলেন আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে যে তথ্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে সে অনুযায়ী মাইকিং করা হচ্ছে। এই গরমে সবাই নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়া জন্য জন্য বিশেষ অনুরোধ করেছেন।
আরএম/ টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/