• বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০২ অপরাহ্ন

সরকারি গাছ কেটে সাবাড়, কর্তৃপক্ষ নিরব !

Reporter Name / ৯৪ Time View
Update : শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫

টাঙ্গন ডেস্ক : ঠাকুরগাঁও-গড়েয়া সড়কের ঢেপা নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণের দোহাই দিয়ে অবৈধ ভাবে লাখ লাখ টাকার গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মিজানের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে সড়ক বিভাগের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

সরোজমিনে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও-গড়েয়া সড়কের ঢেপা নদীর উপর দীর্ঘদিন ধরে ব্রীজ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। সেই ব্রীজের দুই দিকে রাস্তার দুই পাশে পুরোনো ৭-১০টি মেহগনি গাছ কাটার পরিকল্পনা করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মিজান। ইতিমধ্যে বেশকয়েকটি গাছ কেটেও ফেলেছে। যার এক একটি গাছের মূল্য প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা। বিষয়টি জানাজানি হলে বনবিভাগ এবং উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করা হলে বনবিভাগ কর্তনকৃত গাছ গুলো জব্দ করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় রাখেন।

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যখন সকল সরকারি দপ্তর বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে এবং মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে, ঠিক সে সময়ে জেলা পরিষদ, সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের যোগসাজসে লাখ লাখ টাকার দীর্ঘদিনের পুরোনো গাছ কেটে সাবাড় করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রকৌশলী মিজান ও তার সহযোগিরা।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রকৌশলী মিজান বলেন আমার কার্যএরিয়ার মধ্যে গাছ পড়েছে তাই গাছ অপরাসরণ করছি। গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ, আবার কখনো বলছেন জেলা পরিষদ। ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাফিউল ইসলামসহ একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে অভিযোগ উঠে ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের প্রধান সহকারি বিমল চন্দ্র শর্মার বিরুদ্ধে। তার মৌখিক অনুমতিতে গাছ কাটা হচ্ছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে বিমল চন্দ্র শর্মার সাথে একাধিকার বার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।

ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন ঢেপা নদীর নির্মাধীন ব্রীজের পাশে মেহগনি কিছু মূল্যবান গাছ ঠিকাদারের লোকজন কাটে ফেলছে। তাদের গাছ কাটার কোন অনুমতি পত্র নেই। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়, ছায়া দেয়। সেক্ষেত্রে অবৈধভাবে গাছ কাটার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আরেক স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল ইসলাম বলেন দীর্ঘদিন ধরে ব্রীজের কাজ চলছে। তাদের পরিকল্পনা থাকলে অনেক আগেই অনুমতি নিতে পারতো। সেক্ষেত্রে হঠাৎ করে গাছ কাটাটা এক ধরনের অপরাধ বলে মনে করেন তিনি। এব্যাপারে আইনগত প্রদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান তিনি।

ঠাকুরগাঁও বনবিভাগের সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান ঠাকুরগাঁও-গড়েয়া সড়কের গাছ কাটার পূর্বা অনুমতির কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে তিনি বলেন জেলা পরিষদের প্রধান সহকারি বিমল চন্দ্র শর্মা মৌখিক ভাবে গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছেন বলে জেনেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর কাছে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলামের কাছে গাছ কাটার অনুমোতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন কোথায় কাটা হচ্ছে, ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপে দেন।

এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com
https://slotbet.online/
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com