ঢাকা প্রতিনিধি : সম্পদ বিবরণীর ঘোষণা ও হিসাব আইন অনুযায়ী দেশের সকল সরকারি কর্মচারিদের সম্পদ দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট বিভাগ।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞ আদালত আদেশে এ বিষয়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিধি অনুসারে সরকারি কর্মচারিদের সম্পদের হিসাব দাখিল ও তা প্রকাশ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সোমবার (১ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস রিট পিটিশনটি দায়ের করেন।
এডভোকেট নন্দী দাস মঙ্গলবার আদালতের আদেশের বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রিট মামলায় বিবাদীদের (রেসপনডেন্ট) প্রতি আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের সম্পত্তির হিসাব দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং কেন প্রপারলি এ বিষয়ে ডিজিটাল রেকর্ড রাখা হবে না-তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করা হয়েছে।
আইনজীবী বলেন, সংসদ সদস্যগণ রাজস্ব থেকে বেতন পান না। অথচ নির্বাচনের সময় তাদেরকে তাদের সকল সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে হয়। অন্যদিকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আমাদের জাতীয় রাজস্বের একটা বড় অংশ বেতন হিসেবে দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী এ কে এম ফজুলল হক শুনানিতে অংশ নেন।
১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারি (আচরণ) বিধিমালার সংশোধিত ১৩ বিধি অনুযায়ী প্রত্যেক সরকারি কর্মচারি চাকরিতে প্রবেশের সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের কাছে তার বা পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন বা দখলে থাকা শেয়ার, সার্টিফিকেট, সিকিউরিটি, বিমা পলিসি ও মোট ৫০ হাজার টাকা বা ততধিক মূল্যের অলংকারসহ স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির ঘোষণা করবেন।
প্রত্যেক সরকারি কর্মচারি প্রতি পাঁচ বছর অন্তর প্রদর্শিত সম্পত্তির হ্রাস-বৃদ্ধির হিসাব বিবরণী যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দাখিল করবেন।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/