• শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন

হিলি থানার তদন্ত ওসির বিরুদ্ধে ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ

Reporter Name / ৪১ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ জেলার হাকিমপুর (হিলি) থানার তদন্ত ওসি এসএম জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একজনের নেতৃত্বে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে আমামিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পরিবারসহ স্থানীয়দের। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, সহকারী পুলিশ সুপার।

উপজেলার ৩নং আলীহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ ইসবপুর গ্রামের ইসাহাক আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম রভি বলেন, গত শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে আমি বাড়িতে ছিলাম। এমন সময় থানার তদন্ত ওসি এসএম জাহাঙ্গীর আলম তার সঙ্গী ফোর্স নিয়ে আমার বাড়িতে আমাকে ধরতে আসেন। তদন্ত ওসি তিনি আমার পরিবারের সাথে অনেক খারাপ আচারণসহ ভয়ভীতি দেখান। একপর্যায় পরিবারকে ৬০ হাজার টাকা দিতে বলে, তা না হলে আমাকে ধরে নিয়ে যাবে। পরিবার নিরুপায় হয়ে স্থানীয় রাজ্জাক নামের একজনের মাধ্যমে ঐটাকাটা তদন্ত সাহেবকে দেন।

আমি একজন সাধারণ মানুষ, পুকুরে মাছ চাষ আর ব্যবসা করে চলি। পুলিশ কেন আমার উপরে এমন নির্যাতন করছে। আমি এর বিচার চাই।

আমিনুল ইসলাম রভির স্ত্রী বলেন, শনিবার দুপুরে পুলিশ আমার বাড়িতে এসে আমাদের সাথে অনেক খারাপ আচারণ করেছে। আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে যাবে এবং অনেক ভয়ভীতি দেখিয়েছে। শেষে আমি রাজ্জাকের হাতে ৬০ হাজার টাকা দেয়। টাকা পেয়ে আমার স্বামীকে ছেড়ে দেয়। বর্তমান আমরা খুবি আতঙ্কে আছি।

শাহিন নামের স্থানীয় এক যুবক বলেন, সেদিন দুপুরে আমিনুল ভাইয়ের বাড়িতে পুলিশ আসে। পুলিশকে দেখে তার বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করি । পরে দেখি তাদের হাতে অনেক টাকা। টাকা নিয়ে চলে যায়।

কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, আমিনুল একজন ভাল মানুষ। দিনদুপুরে পুলিশ তার বাড়িতে এসে তোড়জোড় করে এটা কেমন বিষয়। দেশে কি আইন নেই? টাকার কাছে সব বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। টাকা নিয়ে আসামি ছেড়ে দেয়।

৬০ হাজার টাকা নিয়ে আসামি ছেড়ে দিয়েছেন কেন, মুঠোফোনে জানতে চাইলে হাকিমপুর থানার তদন্ত ওসি এসএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এসব কথা ফোনে হবে না। থানায় আসুন।

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন মিঞা বলেন, শনিবারে আমিনুলের বাড়িতে তদন্ত ওসি অভিযান চালিয়েছে আসামি আটকের জন্য। টাকা নিয়েছে, বিষয়টি জানা নেই, তবে তদন্ত করা হবে।

এবিষয়ে হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আ, ন, ম নিয়ামততুল্লাহ বলেন, অফিসিয়াল ভাবে এবিষয়ে এখনও আমি অবগত হয়নি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে আমার ক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।

 এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com
https://slotbet.online/
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com