বাংলাদেশের জন্য ফারাক্কা এক ভয়াবহ অভিশাপের নাম যার প্রভাবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে দেশের ছয় কোটি মানুষ পানির অভাবে ধুকছে, গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ অঞ্চল সেচের পানির অভাবে মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। এই অভিশাপের প্রাকৃতিক, ভৌগলিক ও সামাজিক নানাবিধ ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাবের পাশাপাশি শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণই বছরে ৫হাজার কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৬ই মে ২০২৪) সকালে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন নেতারা।
নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, এ্যাড. আফতাব হোসেন মোল্লা, সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূর, অতিরিক্ত মহাসচিব কাজী এ.এ কাফী, কেন্দ্রীয় নেতা খান আসাদ, খোন্দকার জিল্লুর রহমান, শেখ.এ সবুর প্রমুখ।
পরীক্ষামূলক ভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালু করার ভাঁওতাবাজিতে স্বাধীনতা কালীন সময়ের বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের প্রবল কর্তৃত্বপরায়ণ ও আগ্রাসনবাদী হয়ে ওঠার স্বরূপ দেশের জনগণের নিকট উন্মোচিত হয়ে পড়ে।
১৯৪৭ সালের বুনিয়াদি স্বাধীনতা তথা আজাদি আন্দোলনের অন্যতম সদস্য তৎকালীন আসাম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সভাপতি, দূরদর্শী মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ফারাক্কা অভিশাপের ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন।
বিভ্রান্ত ও কিংকর্তব্যবিমুঢ় গোটা জাতীকে তিনি ১৯৭৬ সনের ১৬ই মে ফারাক্কা অভিমুখে লং মার্চের ডাক দিয়ে বাংলাদেশী জাতিসত্তায় বলীয়ান হয়ে মাথা উঁচু করে নিজের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হওয়ার প্রেরণা যুগিয়েছিলেন। কৃতজ্ঞতা স্বরূপ প্রতি বছর ১৬ই মে দিনটিকে ফারাক্কা দিবস হিসাবে পালন করে জাতি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে থাকে।
দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের বলেন, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মত মুসলিম জাতিসত্তা আদর্শে বলীয়ান রাজনীতিবিদদের অনুপস্থিতির কারণেই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-গণতন্ত্র আজ হুমকির মুখে। আধিপত্যবাদীদের কালো ছায়া প্রতিনিয়ত পড়ছে দেশের মানচিত্রে। ফারাক্কা দিবস বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন, কার্যত বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও জাতিসত্তার প্রতীক।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/