• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল উন্নীতকরণের দাবিতে রাণীশংকৈল মানববন্ধন হিলিতে নিত্যপন্যের বাজার নিয়ন্ত্রন ও যানজট নিরসনে অভিযান বালিয়াডাঙ্গীতে করাতকল মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবের তিন সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন দুর্নীতি বন্ধ করলে দেশ এগিয়ে যাবে- স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা থানাকে জনগণের আস্থার জায়গায় পরিণত করতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কোন প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন না মেধার ভিত্তিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভর্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ তিন জাতীয় দিবস উদ্যাপনে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রস্তুতি সভা দোয়ারাবাজারে এফআইভিডিবি’র স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ

হাসপাতালে দিন দিন বাড়ছে শিশু রোগীর চাপ !

Reporter Name / ১৯৯ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪

মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও : দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা। আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনের ফলে ঠাকুরগাঁও জেলায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। কয়েক দিন ধরে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গড়ে ২ শতাধিক শিশু রোগী ভর্তি থাকছে। ওয়ার্ডে শয্যাসংখ্যা কম থাকায় হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝেতে রোগী রেখে চলছে চিকিৎসা। এতে রোগীরা নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এক সঙ্গে এত সংখ্যক শিশুকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে হাসপাতালের ৪৫ শয্যার বিপরীতে শিশু রোগী ভর্তি আছে ২১০ জন। ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৫ গুণ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এছাড়াও  প্রতিদিন বহিরবিভাগে শতাধিক শিশু রোগীকে দেওয়া হয় চিকিৎসা।

এ বিপুল সংখ্যক রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত আছেন মাত্র ২জন চিকিৎসক ও ২জন সিনিয়র স্টাফ নার্স।

হাসপাতালের শিশু বিভাগে ঘুরে দেখা গেছে, ভর্তি রোগীদের মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্তই বেশি। ওয়ার্ডের ভিতরে অনেক রোগী বেড না পেয়ে বারান্দার মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা।ডাক্তার আসার আগে রোগীর স্বজনদের রোগীকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স তাজনেহার খাতুন বলেন, এতো রোগীর চাপ সামাল দেওয়া আমাদের পক্ষে কষ্টকর। অপরদিকে সারোয়ার হোসেন নামে শিশু রোগীর এক অভিভাবক বলেন, ডাকাডাকি করেও নার্স পাওয়া যাচ্ছে না।

সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবিনা ইয়াসমিন বলেন ২জন মাত্র নার্স দিয়ে ২১০ জন শিশু রোগীর ইনজেকশন দেওয়া, স্যালাইন দেওয়া ও খোলা, রক্তের নমুনা সংগ্রহ ও হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীর সেবা দেওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে করে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে  হিমশিম খেতে হচ্ছে।

হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সাজ্জাদ হায়দার শাহীন বলেন, প্রতিবছর সাধারণত আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় শিশুরা সর্দিকাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট সহ নানারোগে আক্রান্ত হয়।

তত্ত্বাবধায়ক ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২৫০ শয্যার জনবলের চাহিদা চেয়ে একাধিকবার পত্র-সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দেওয়া হয়েছে। জনবল ও শয্যাসংকট থাকায় রোগীদের কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা প্রদানে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে ।

স্যালাইন ও ঔষুধ না পাওয়া প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক বলেন, এত বিপুল সংখ্যক রোগীর চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের ঔষুধও সরবরাহ করা যায় না।

এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com
https://slotbet.online/
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com