যদি কখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারি সনাতন ধর্মের ভাই-বোনদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। যে ব্যবস্থার মাধ্যমে তাঁরা উপকৃত হবেন। নিজেকে নিরাপদ মনে করবেন। বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় ইসলামী ছাত্র-শিবিরের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী মো: দেলাওয়ার হোসেন।
শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে সম্প্রীতি সমাবেশে জেলা জামায়াতের ইসলামীর আমির অধ্যাপক মাওলানা মোঃ আব্দুল হাকিমের সভাপতিত্বে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ধর্মের ভিত্তিতে নয়, বাংলাদেশী হিসেবে কাজ করতে চাই। বিপদ, মুসিবত ও দুর্যোগে জামায়াতে ইসলাম ছুটে গেছে। ধর্মের বিবেচনায় জামায়াতে ইসলাম ছুটে যায়নি। পঞ্চগড়ে নৌকাডুবির ঘটনা যখন ৭০ জন মানুষ নিহত হয় তাদের পাশে সর্ব প্রথম ছুটে যায় জামায়াতে ইসলাম। সরকারও আপনাদের পাশে প্রথমে যায়নি। সকল ধর্মীয় উপাসনালয় পাহারাদার হিসেবে দায়িত্বপালন করেছি আমরা । যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাছে অনিরাপদ মনে হয়েছিল।
সহকারী সেক্রেটারী বলেন, ৫-ই আগস্টের পর সারাদেশে ঘটে যাওয়া বিছিন্ন ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কোন নেতাকর্মী জড়িত নন। যেমন ১৯৭১ সালের পর থেকে এদেশে বিচ্ছিন্ন ঘটনার সঙ্গে জামায়াত ইসলাম জড়িত ছিলো না। সকল জনশক্তির প্রতি জামায়াতের নির্দেশনা রয়েছে। তাঁরপরেও কেউ যদি দলের (জামাত) পরিচয়ে কারো উপর নির্যাতন বা অন্যায় করে তাহলে তাকে আমাদের হাতে তুলে দেন। আমরা যথাযথ শাস্তি দিবো।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, সনাতন ধর্মের ভাইয়েরা দুর্গাপূজা নিয়ে খুবই চিন্তিত রয়েছেন। তাঁরা যদি মনে করে আইনশৃঙ্খলার পাশাপাশি আমাদের প্রয়োজন আমরা প্রস্তুত তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার। আপনাদের পাশে থেকে একটি শান্তি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই। দেশ যদি নিরাপদে থাকে তাহলে সকল মানুষ নিরাপত্তা পাবে। আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে চাই। আর যারা ষড়যন্ত্রকারী তাদের কোন ধর্ম নেই, তাদের কোন দল নেই।
এছাড়াও সম্প্রীতি সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের নায়েবি আমীর অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন আহমেদ, সেক্রেটারী আলমগীর হোসেন, সহকারী সেক্রেটারী কফিল উদ্দীন আহমেদ, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় স্পোর্টস সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ।
https://slotbet.online/