• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দেশকে এমনভাবে গড়তে চাই, জনগণই হবে সকল ক্ষমতার মালিক-প্রধান উপদেষ্টা সাফ ফুটবল জয়ী তিন কন্যাকে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের সংবর্ধনা যানজট নিরসনে হিলি পৌর প্রশাসকের মতবিনিময় ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল উন্নীতকরণের দাবিতে রাণীশংকৈল মানববন্ধন হিলিতে নিত্যপন্যের বাজার নিয়ন্ত্রন ও যানজট নিরসনে অভিযান বালিয়াডাঙ্গীতে করাতকল মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবের তিন সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন দুর্নীতি বন্ধ করলে দেশ এগিয়ে যাবে- স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা থানাকে জনগণের আস্থার জায়গায় পরিণত করতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কোন প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন না

রাজশাহীতে কুড়ি গুন দামে বিক্রী হচ্ছে নিউমোনিয়ার স্যালাইন

Reporter Name / ২১৩ Time View
Update : শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন বাড়ছে শিশু ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি ভর্তি হচ্ছে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে। রামেক হাসপাতালে গত সাড়ে তিনমাসে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ১০৮ শিশু। আর নিউমোনিয়ার স্যালাইনও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। দাম বেড়েছে প্রায় ২০ গুণ।

রাজশাহীতে নিউমোনিয়ার স্যালাইনেরও সঙ্কট হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। ওষুধ ব্যবসায়ীরা বলছেন, এপিএন স্যালাইনের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। আবার চাহিদামতো স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। তারা বলছেন, ‘৬৫ টাকার স্যালাইন আমাদের কিনতে হচ্ছে এক হাজার থেকে ১২০০ টাকায়। যদিও এই স্যালাইনে বিক্রিতে খুবই স্বল্প লাভ।’

এদিকে চাপ বেড়ে যাওয়ায় শিশুদের ৪টি ওয়ার্ডগুলোর বারান্দাতেও ঠাঁই হচ্ছে না রোগীদের। অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসাসেবা দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক-নার্সরা। আবার রোগীর স্বজনেরা পড়ছেন নানা বিড়ম্বনায়।

রামেক হাসপাতালের ৯, ১০ ও ২৪ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের প্রচুর ভিড়। ভর্তি শিশুদের অভিভাবকদের কারণে হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভেতরে পা ফেলা কঠিন হয়ে পড়েছে। একই অবস্থা ওয়ার্ডের বারান্দাতেও। বিশেষ করে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে রোগী ও স্বজনদের ভিড় ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা বাগমারা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের এরশাদ আলী নামের এক শিশুর বাবা বলেন, ‘আমার বাচ্চার বয়স ৯ মাস। প্রথমে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওখান রামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রথমে অবস্থা খারাপ থাকলে বাচ্চা এখন সুস্থ আছে। নিউমোনিয়ার আক্রান্ত বাচ্চাকে বেড না পাওয়ায় মেঝেতে রাখতে হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাচ্চার জন্য ডাক্তাররা স্যালাইন লিখে দিয়েছিল। সে স্যালাইন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এক দোকানে পেয়েছি তাও ১২০০ টাকা নিয়েছে। কিন্তু এই স্যালাইনের দাম কম বলে জানিয়েছে নার্সরা।’

আরেক রোগীর অভিভাবক বলেন, চিকিৎসকেরা প্রতিদিন এপিএন, বেবি সল্টসহ বিভিন্ন স্যালাইন লিখছেন। হাসপাতালে স্যালাইনগুলোর সাপ্লাই নেই। বাইরে থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। দোকানদাররা বলছেন, স্যালাইন নাই। তবে বেশি দাম দিতে চাইলে তারা দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির রাজশাহী শাখার সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘নিউমোনিয়া আক্রান্তের পরিমাণ বাড়ায় স্যালাইনের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু কোম্পানিগুলো সরবরাহ বাড়াচ্ছে না। এ কারণে সঙ্কট তৈরি হয়ে দাম বেড়েছে। কিন্তু ৬৫ টাকার স্যালাইন ১ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি হওয়া কোনো ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।’

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. শাহিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে প্রতিদিন গড়ে ১০০ থেকে ১৩০ জন করে শিশু ভর্তি হচ্ছে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে। সর্বশেষ গত বুধবার ভর্তি হয়েছে ৮৪ জন। আর গত অক্টোবর মাসে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৮৭৫ শিশু। শিশু বিভাগের চারটি ওয়ার্ডের মধ্যে এ সময়ে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৫ শিশু মারা গেছে। আর গত আগস্ট থেকে চলতি নভেম্বর পর্যন্ত মোট নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে রোগী ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ১০৯ জন।’

তবে স্যালাইন সংকট নেই দাবি করে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ বলেন, ‘শিশু রোগীর চাপ আছে ঠিক। তবে চিকিৎসা কার্যক্রম ঠিকঠাক মতো চলছে। চিকিৎসায় কোনো সমস্যা হচ্ছে বলে আমার জানা নেই।’

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com
https://slotbet.online/
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com