নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: মজুরি বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন চলাকালে তিন পোশাক শ্রমিক নিহত ও অর্ধশতাধিক আহতের ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম (এসএনএফ)।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ নভেম্বর মজুরি বোর্ড পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা প্রস্তাব করে। পরে ঘোষিত বেতন প্রত্যাখ্যান করে ৮ নভেম্বর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি ও জরুনসহ আশেপাশের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভে নামেন। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে বলে সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে। এতে দুজন পোশাক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ এবং অন্তত ১০ জন শ্রমিক আহত হন। এরমধ্যে, আঞ্জুয়ারা খাতুন (৩০) নামের একজন নারী পোশাক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
এছাড়া গত ২৩ অক্টোবর থেকে গার্মেন্টস শিল্পে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকরা গাজীপুর, আশুলিয়া, মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করে আসছেন। দাবি আদায়ে শ্রমিকরা বিভিন্ন উপায়ে বিক্ষোভ করে আসছিলেন। শ্রমিকদের এই বিক্ষোভ দমন করতে গিয়ে পুলিশ আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর গুলি বর্ষণ করে। এতে গত ৩০ অক্টোবর গাজীপুরে পুলিশের গুলিতে রাসেল হাওলাদার এবং ঢাকায় বিক্ষোভরত শ্রমিকদের আগুনে ইমরান নামে ২ জন শ্রমিক মারা যান।
এসএনএফ মনে করে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য তাদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে মজুরি নির্ধারণ, কর্মক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তা এবং প্রত্যেক নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা প্রদান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। একটি গণতান্ত্রিক দেশে ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনের ওপর গুলিবর্ষণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নহে। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জনিয়ে অবিলম্বে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এসএনএফ।
https://slotbet.online/