ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে ৩-৪ দিন ধরে কুয়াশায় জেঁকে বসেছে শীত। তীব্রতাও অনেক বেশি। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কুয়াশার কারণে গত কয়েকদিন থেকে ঠিকমত সূর্যের দেখা মিলছে না। দুপুরের মাঝে মধ্যে সূর্যের দেখা মিললেও এর তীব্রতা নেই বললেই চলে। এতে করে বিভিন্ন বয়সী মানুষজন সমস্যায় পড়েছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছেনা সাধারণ মানুষ।
বুধবার (১ জানুয়ারী) ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠে পুরাতন কাপড়ের মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ, শিশুরা ভীড় জমিয়েছেন। তারা প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় কিনছেন।
প্রায় প্রত্যেকদিন সকাল থেকে দেখা যায়, মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাফেরা করছে। এ কয়েকদিনের প্রচন্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রতিদিন রাত ৮ টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্রাম-গঞ্জ ও শহরের হাট বাজারগুলো। শীত নিবারনের জন্য গরম কাপর কিনতে শীতের পুরোনো কারপরের দোকানগুলোতে ভীড় করছেন বেশিরভাগ শীতার্ত মানুষ।
সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের ২৯ মাইল এলাকায় গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় মানুষজন শীত নিবারনের জন্য কাঠ-খট্টা দিয়ে আগুন জ্বালিয়েছেন। আগুন পোহাতে আশ পাশের বেশ কয়েকজন মানুষও এসেছেন শীত লাঘবের জন্য গরম পরশ নেওয়ার জন্য।
ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠে গরম কাপড় কিনতে আসা ক্রেতা শামসুল হক জানান, কয়েকদিন শীত বেড়েছে। এ কারণে তিনি তার বাচ্চাদের জন্য শীতের কাপড় কিনতে এসেছেন। এখন থেকে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে ভেবে তিনি এখানে প্রয়োজনীয় কাপড় কিনতে এসেছেন। বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় গরম কাপড় এখানে পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।
মার্কেটের ব্যবসায়ি মজনু, হযরতসহ বেশ কয়েকজন জানান, এ বছর নিত্য নতুন, ভাল মানের শীতের গরম কাপড় উঠেছে। এখান থেকে মানুষজন বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় সংগ্রহ করতে পারেবেন বলে জানান তিনি। এখনকার মত শীত বাড়তে থাকলে বেচাকেনাও আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
শীতে কাজ করতে অসুবিধা হওয়ায় অনেকটা বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এ অবস্থায় কাজে যোগদান করতে না পেরে অসহায় হয়ে পরেছেন তারা। সেই সাথে শীতে জড়ো-সড়ো হয়ে গেছে গবাদী পশুও। কেউ কেউ আবার খড়-কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে করছেন শীত নিবারণের চেষ্টা। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার পর্যন্ত জেলায় সর্বোাচ্চ ২৮ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
জেলা প্রশাসন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেশকিছু স্থানে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। তবে শীত যত বাড়বে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দপ্তর ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে আরও বেশি পরিমাণে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এ অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষজন।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/