খাপড়া ওয়ার্ড দিবসে শহীদ স্মরণে ঠাকুরগাঁওয়ে সিপিবির লাল পতাকা মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার শালডাঙ্গা শহিদ কমরেড খমপুরাম সিং স্মৃতি কমপ্লেক্স চত্বরে এ আয়োজন করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি(সিপিবি) ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটি। আলোচনা সভার শুরুতে খাপড়া ওয়ার্ডের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা দবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব আলী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.আবু সায়েম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য চৌধুরী আনোয়ার হোসেন, সদস্য সেতারা বেগম, রেজওয়ানুল হক রিজু, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মুসলেম উদ্দীন, শহীদ কমরেড কম্পরাম সিংয়ের নাতি আরশি লাল, তেভাগা আন্দোলনের নেতা হাজী মোহাম্মদ দানেশের নাতি সুলতান উল নাঈম শুভ, হেলকেতু সিংয়ে ছেলে বুধু রাম সিং প্রমূখ। পরে একটি লাল পতাকা মিছিল বের হয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ করে কমপ্লেক্স চত্বরে এসে শেষ হয়।
বক্তারা বলেন, ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডে জেলবন্দী কমিউনিস্ট নেতারা যখন রাজবন্দীর মর্যাদা ও ভাল খাবারের দাবীতে অনশন করছিলেন তখন খাপড়া ওয়ার্ড থেকে আটজন রাজবন্দীকে কনডেম সেলে স্থানান্তারিত করার সময় ডিভিশন না পাওয়ায় প্রতিবাদ করেন। ঐ দিন জেলার বিলের নির্দেশে ৪০ জন রাজবন্দীর উপর নির্বিচারে নির্মমভাবে গুলিচালায় কারারক্ষীরা। এর ফলে শহীদ হন তেভাগা আন্দোলনের নেতা ঠাকুরগাঁওয়ের কম্পরাম সিং, ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন, শ্রমিক নেতা বিজন সেন,মোহিনী মিলের সংগঠক সুধীন ধর, শ্রমিক হানিফ শেখ, কুষ্টিয়ার রেলশ্রমিক দিলওয়ার হোসেন ও ময়মনসিংহের ছাত্র সংগঠক সুখেন ভট্টাচার্য। বাকীরা মারা না গেলেও মারাত্মকভাবে আহত হন।
আজ আমরা খাপড়া ওয়ার্ডের সকল শহীদদের স্মরণে শহিদ কম্পরাম সিংহ স্মৃতি কমপ্লেক্স ও জন্মস্থানে লালপতাকা মিছিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছি। খাপড়া ওয়ার্ডের শহীদদের দেখানো পথ দেশের শোষিত,বঞ্চিত,মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে প্রাণিত করবে ও পথ দেখাবে।
https://slotbet.online/