খুলনা ব্যুরোঃ খুলনা জুট ওয়ার্কাস ইনস্টিটিউটের অফিস কক্ষে ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদকের আহবানে নিম্ন বর্ণিত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সোমবার (২৬ আগষ্ট) সকাল ১০টায় খালিশপুর বিআইডিসি রোডস্থ অফিসে এক জরুরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিটের সহ সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান, সভায় সাধারন সসম্পাদক হুমায়ুন কবির উপস্থাপন করেন, জুট ওয়ার্কাস ইনস্টিটিউটের ৩০ টি দোকানঘরের মধ্যো ভাড়াটিয়ারা ৭টি দোকানঘর চুক্তি অনুযায়ী দোকান করিয়া আসিতেছে। বাকী দোকানদাররা চুক্তি অনুযায়ী ভাড়া দিতে অস্বীকার করিয়া অসিতেছে। চুক্তি অনুযায়ী তাদের বরাবর নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
সভায় জানানো হয়, খুলনা জুট ওয়ার্কাস ইনস্টিটিউট ৫ টি জুট মিলের ৫০ হাজার শ্রমিকদের অর্থায়নে কেনা সম্পত্তি। উক্ত সম্পত্ত্বি নিয়ে হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ চলমান রয়েছে। স্থগিত আদেশ ও হাইকোর্টে রিট পিটিশন নং- ১৪৪৩৯/২০১৮। বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে আপীল ট্রাইব্যুনাল (জেলা জজ আদালত), খুলনা নং- ১৬১/২৪ মামলাটা চলমান থাকা সত্ত্বেও কিছু দুষ্কৃিতিকারী দোকানদাররা দোকান মালিকানা চাহিয়া হাইকোর্টে বিভাগের ৮৯৫৯/২০২২ নং রিট পিটিশন করেন।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে স্বারক নং- ০৫.৪৪.৪৭০০.০৩১.৪৯২.২০২২-১৯০৬ জেলা প্রশাসক হাইকোর্ট বিভাগে রীট পিটিশন ১৪৪৩৯/২০১৮ চলমান থাকায়, বিঞ্জ আদালত উক্ত রীট পিটিশনের আদেশ স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করার দোকানদারদের অনুকুলে দোকানগুলো বরাদ্দ প্রদানের সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন। অতঃপর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী লোকদের নিয়ে ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম সজল ও আতিয়ার সহ কিছু দুষ্কৃতিকারী দোকানদার দোকান ভাঙ্গিয়া একাধিকবার দখল করিলে প্রশাসন, থানা ও জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে আবার দোকান বন্ধ করে দেন।
সভায় আরও জানানো হয়, গত ২২ আগষ্ট সকাল ১১ টার দিকে দুষ্কৃিতিকারী, দখলদার দোকানদার তালা ভাঙ্গিয়া আবার দোকানঘর দখল করে। এব্যাপারে থানায় ২২ আগষ্ট একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। আমরা বিভিন্ন জায়গায় একাধিক বৈঠকের পরও তারা শ্রমিকদের সম্পত্তি আত্মস্বাৎ করার জন্য আওয়ামী লীগের কর্মী বলিয়া আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের দ্বারা শ্রমিক নেতাদের ভয়-ভীতি দেখায় এবং মারধর করে। খালিশপুর থানায় মারধরের একটি মামলা চলমান।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত দোকানদাররা বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে ও ভুল তথ্য প্রদান করে খেটে খাওয়া শ্রমিকদের চাঁদায় ক্রয়কৃত জমি ও দোকান দখল ও লুটপার্টের মাধ্যমে দখলে নিয়েছে। এই দখলদারদের হাত থেকে দোকানঘর ও জমি রক্ষা করার জন্য ছাত্র জনতার সহযোগিতা কামনা করেছেন শ্রমিক নেতারা।
সভায় জানানো হয় গত ২২ আগষ্ট খালিশপুর থানায় তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ সময় শ্রমিক নেতা আবুল কালাম জিয়া, আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মদ, মাসুম গাজী, জয়নাল আবেদীন, হেমায়েত উদ্দিন আজাদী, সেলিম শিকদার,খলিলুর রহমান, জাহিদ হোসেন জাহাঙ্গীর ডিয়ারসহ নেতৃবৃন্দ সম্পত্তি রক্ষা এবং দোকান ঘর উদ্ধারে নিয়মানুযায়ী সকল ব্যবস্থা গ্রহনে একমত পোষন করেন।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/
Muchas gracias. ?Como puedo iniciar sesion?