খুলনা ব্যুরো : খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন কেইউজে’র দ্বি বার্ষিক নির্বাচনে সম্রাট-মহেন পরিষদ ২০২৪-২৫ দুই বছরের জন্য বিজয়ী হয়েছেন।
শনিবার (২৯ জুন) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট চলে। নির্বাচনে ১১টি পদে ২৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন কেইউজে’র সাবেক সভাপতি মোঃ মুন্সি মাহাবুব আলম সোহাগ। সহকারি নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র মোঃ হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা ও কেইউজে’র সদস্য হাসান আল মামুন।
ভোট দিতে আসা সাধারণ সদস্য তপু বিশ্বাষ জানান, একটি গনতান্ত্রিক ও গঠনতান্ত্রিক ইউনিয়ন গড়ার লক্ষ্যে আমরা যোগ্য নেতা নির্বাচনে এসেছি। অপর সদস্য বাবুল আকতার জানান, সুন্দরভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি নির্বাচিত নতুন নেতৃত্ব বিগত দিনের সকল অনিয়মের গঠনতান্ত্রিক বিচার করবে।
ভোট গ্রহনকালীন সময়ে নির্বাচন পরিদর্শনে আসেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ সুজিত অধিকারী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি শেখ মোঃ আবু হানিফ, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল।
এ সময় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু এবং উৎসব মূখর পরিবেশে ভোট চলছে। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন হোক। নির্বাচনের মধ্যদিয়ে যোগ্য নেতৃত্ব বেড়িয়ে আসবে।
এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোঃ মুন্সি মাহাবুব আলম সোহাগ বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সকল প্রস্তুুতি গ্রহণ করা হয়। সদস্যরা সুষ্ঠ ভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। শ্রম অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়ন, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা নির্বাচন পর্যবেক্ষন করেন।
নির্বাচনে ১২৬ জন ভোটারের মধ্য ৬৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট গননা শেষে নির্বাচন কমিশন ফলাফল ঘোষণা করেন।
সাঈদুজ্জামান সগ্রাট ৫৯ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দী আনোয়ারুল ইসলাম কাজল পেয়েছেন ৩ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মহেন্দ্র নাথ সেন ৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বিমল সাহা ০৩ ভোট পেয়েছেন।
সহ সভাপতি দুটি পদে কাজী শামীম আহমেদ ৫১ ভোট ও মোঃ আমীরুল ইসলাম ৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী এস এম নুর হাসান জনি ০৩ ভোট, শামীম আশরাফ শেলী ০ ভোট পেয়েছেন।
যুগ্ম সম্পাদক পদে এস এম মনিরুজ্জামান ৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী এস এম ফরিদ রানা ৩ ভোট পেয়েছেন।
কোষাধ্যক্ষ পদে শেখ জাহিদুল ইসলাম ৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী দিলীপ বর্মন ২ ভোট পেয়েছেন।
দপ্তর সম্পাদক পদে সাগর সরকার ৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী আল মাহামুদ প্রিন্স ৩ ভোট পেয়েছেন।
প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মিলন হোসেন ৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী মোঃ হেলাল মোল্লা ৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাহী সদস্য ৩টি পদে নেয়ামুল হাসান কচি ৫৮ ভোট, শেখ লিয়াকত হোসেন ৫২ ভোট, উত্তম কুমার সরকার ৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী মোঃ হুমায়ুন কবীর ১ ভোট, আলমগীর হান্নান ৪, এস এম কামাল হোসেন ১, মোঃ হাসানুর রহমান তানজির ০ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শ্রম অধিদপ্তর খুলনার সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সহ সভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সভাপতি মনোতস বসু, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়া এর সভাপতি রাশিদুল ইসলাম বিপ্লব, বরিশাল সভাপতি মনিরুল আলম স্বপন, যশোর সাধারণ সম্পাদক এইচ আর তুহিন, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সদস্য মো: বেলাল হোসেন।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/