ঢাকা ১৮ মার্চ ২০২৪: ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দৈনিক দেশ রুপান্তরের শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানাকে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনার অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে অবহিত করেছেন প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীকে তার দপ্তর কক্ষে এ অনুসন্ধান কার্যক্রম অবহিত করেন প্রধান তথ্য কমিশনার।
সাংবাদিককে কারাদন্ড প্রদানের ঘটনাটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দেওয়ায় তথ্য কমিশনকে এ সময় ধন্যবাদ জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
প্রধান তথ্য কমিশনারের সাথে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গণমাধ্যম ও পেশাদার সাংবাদিকদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় যেকোন পেশাদার সাংবাদিকের অনাকাঙ্ক্ষিত হয়রানির বিপক্ষে এবং পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার আছে। সরকারের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য অধিকার আইন করেছেন। এ আইনের আওতায় জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক অনুসন্ধান প্রতিবেদন ইতোমধ্যে তথ্য কমিশনে দাখিল করেছেন মর্মেও প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন প্রধান তথ্য কমিশনার।
আগামীকাল (১৯ মার্চ) এ বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে মর্মেও জানান তিনি। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট উভয়পক্ষকে তথ্য কমিশনে সমন করা হবে বলেও প্রতিমন্ত্রীকে জানান প্রধান তথ্য কমিশনার। এ সময় তিনি তথ্য কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কেও প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক ও তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দৈনিক দেশ রুপান্তরের শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা প্রতিনিধি শফিউর রহমান রানাকে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনায় গত ৭ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘তথ্য চেয়ে আবেদন করে দেশ রুপান্তরের সাংবাদিক জেলে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর ২৫(৫) ধারা অনুযায়ী ঘটনাটি তদন্তের জন্য তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুককে দায়িত্ব দেয় তথ্য কমিশন।
সাংবাদিককে কারাদন্ড প্রদানের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে আমলে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ বিষয়ে প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেকের সাথে কথা বলে ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের ওপর জোর দেন। প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেছেন।
উক্ত ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক গত ১০ মার্চ সকালে শেরপুর জেলা কারাগারে গিয়ে সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানার সঙ্গে কথা বলেন এবং তার বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন। এদিন দুপুরে তিনি নকলায় সাংবাদিক রানার বাসায় গিয়ে তার স্ত্রীর সাথেও কথা বলেন। একইদিন বিকেলে তথ্য কমিশনার নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিনের সঙ্গে সাংবাদিকের আবেদনের বিষয়ে কথা বলেন ও সাজার নথি দেখেন।
https://slotbet.online/
কর্মকর্তারা দূর্নীতি করলে সে তথ্য চাইলে গড়িমসি করে। তথ্য অধিকার আইনে যখন আবেদন কনা হয় তখন ক্ষেপে ঐ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে, নানা কথা ছড়ায়। ঐ ইউএনওর কাছ থেকে তথ্য আইনে তার আমলের সকল প্রজেক্টের তথ্য নিয়ে সরেজমিন যাচাই করলে থলের বেড়াল বের হবে। দেশ রূপান্তর সহ সকল সাংবাদিক এক হয়ে নিুজ করা উচিৎ।