ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভুল্লী থানার ভাতগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামে ২ সন্তানের জননী রুমা আক্তারকে হত্যার দায়ে নিহতের শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে শনিবার (১৫ মার্চ) রুমার মা রোকেয়া বেগম (৪৬) বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ভ‚ল্লী থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রুমার শ্বশুর হামিদুল ইসলাম (৬০) কে গ্রেফতার করে।
আর পড়ুন : ঠাকুরগাঁওয়ে ভূট্টা ক্ষেত থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
মামলার আসামীরা হলেন রুমার স্বামী ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভাতগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৭)। রুমার শ্বশুর হামিদুল ইসলাম (৬০), দেলোয়ার হোসেনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর (৩৫), আরেক ভাই আব্দুর রাজ্জাক (২৬) এবং সদর উপজেলার আকচা গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে ফারুক (২৮)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালে দেলোয়ার হোসেনের সাথে রুমার বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তাদের পরিবারে দোলা আক্তার (৯) ও রুমান (৬) নামে ২ সন্তানের জন্ম নেয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পরকিয়ার জেরে রুমা ও দেলোয়াড়ের মধ্যে অশান্তি লেগেই ছিল। মাঝে মধ্যেই রুমার উপর নির্যাতন চালাতো। গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) রুমাকে কোথাও খুজে না পেয়ে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। পরদিন শনিবার দুপুর পর্যন্ত তার সন্ধান না পাওয়ায় পরে বাড়ি পাশে একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে রুমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রুমার মা রোকেয়া বেগম জানায়, আমার মেয়ে রুমাকে বিয়ের পর থেকে নির্যাতন করে আসছিল, গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) রুমাকে গলা চিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/