উপজেলা প্রতিনিধি
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) : মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নির্দেশনা দেয়া থাকলেও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেই তা মানা হয়নি । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অধিকাংশ সরকারি কার্যালয়ে উত্তোলন করা হয়নি জাতীয় পতাকা।
উপজেলা প্রশাসনের তদারকি না থাকায় এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন সুশীল সমাজ। আবার সচেতন সমাজ মনে করছেন জাতীয় দিবসে সরককারি, বে-সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন না করাটা জাতীয় পতাকা অবমাননার সামিল।
বুধবার আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি স্ব-স্ব সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধ-নির্মিতভাবে তোলার নির্দেশনা থাকলেও বিশেষ করে তা মানা হয়নি উপজেলার এই সাতটি দপ্তর।
দপ্তরগুলো হলো, উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি), উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, উপজেলা সমবায় অধিদফতর, উপজেলা হিসাবরক্ষন অধিদফতর, উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদফতর, উপজেলা পরিসংখ্যান অধিদফতর ও উপজেলা তথ্য কেন্দ্র তথ্য আপা দপ্তর। এদিকে প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে উপজেলা নির্বাচন দপ্তর ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরে বেলা সাড়ে ১১টায় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এবিষয়ে ঠাকুরগাঁও জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাড. আবু সায়েম বলেন, বিধি মোতাবেক পতাকা উত্তোলন না করা জাতীয় পতাকা অবমাননার শামিল। ২০১০ সালে সংশোধিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন আইন অনুযায়ী জাতীয় পতাকা অবমাননায় সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত শাস্তি এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু তার বাস্তবায়ন নাই।
সহকারি অধ্যাপক আসাদুজ্জামান বলেন, শহীদ দিবসে সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা তোলা হয় না, এটা ভাবা যায়। বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, দেশে আইন আছে প্রয়োগ নেই। বিজয় দিবসে সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি এটা মেনে নেয়া যায় না।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রকিবুল হাসান জানান, বিস্তারিত জেনে দপ্তর গুলোর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
https://slotbet.online/