নিজস্ব প্রতিবেদক
পঞ্চগড় : আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর পঞ্চগড়ে আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামীলীগ।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে সাতটার দিকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রারাটের নেতৃত্বে কয়েকশ নেতাকর্মী জেলা আওয়ামীলীগ কার্য্যালয় থেকে মিছিলটি বের করে।
মিছিলটি জেলা শহর প্রদক্ষিন শেষে আবারও জেলা আওয়ামীলীগ কার্য্যালয়ের সামনে শেষ হয়। পরে সেখানেই সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুুষ্ঠিত হয়। সভায় সাধারন সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বক্তব্য রাখেন।
এ সময় তিনি বলেন আগামি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে পঞ্চগড় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী নেতা কর্মীরা। সেই সাথে বিএনপি ও তাদের দোসররা যদি পঞ্চগড়ে জনগনের জান মালের কোন ক্ষতি করা হয় তাহলে সমুচিত জবাব দেওয়ার ঘোষনা দেন তিনি। তফসিল ঘোষনার আগে আনোয়ার সাদাত সম্রাটের নির্দেশে সদর উপজেলা চাকলা ইউনিয়ন সহ কয়েকটি ইউনিটের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জেলা আওয়ামীলীগ কার্য্যালয়ে এসে জড়ো হয়।
অপরদিকে বুধবার রাতে জেলা শহরের হ্যাপী রোড থেকে তফসিল ঘোষনার পরপরই জেলা যুবদলের সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহিদ রাসেলের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জনের মশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি হ্যাপি রোড থেকে পঞ্চগড়- তেঁতুলিয়া মহাসড়কে মিছিল করেন। এ সময় একটি এলপিজি গ্যাস পরিবহনের কাচ এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।
এছাড়াও শহড়ের রহমানিয়া হোটেলের সামনের চুলা ও গ্রীল বানানোর মেশিন ভাংচুর করে, টিন শেডের উপর মশাল নিক্ষেপ করলে আগুন জ¦লতে থাকে। মহুর্তের মধ্যে শহড়ের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
এক পর্যায়ে পঞ্চগড় সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়া শ্রমীকলীগের কয়েকজন নেতার উপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে পুলিশ ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মিছিল এসে আগুনি নিভিয়ে দেয়।
এদিকে যুবদলের মিছিলের পর থেকেই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা বিএনপি অফিসের সামনে এবং মোড়ে মোড়ে পুলিশ আনসার সদস্যরা অবস্থান নেয়। পাশাপাশি জেলা শহড়ের সড়কগুলোতে পুলিশের সাথে বিজিবিকে টহল দিতে দেখা গেছে।
https://slotbet.online/