• রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ইউপি ভূমি সহকারী কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্তে, কর্মকর্তা নিয়োগ ঠাকুরগাঁওয়ে সাপের কামড়ে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু আদিবাসীদের নিয়ে দিনব্যাপী ফুটবল টুনামেন্ট অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক চর্চার আরেক প্রাণ পুরুষ রবিউল আজম ঠাকুরগাঁয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মানবেতর জীবন বন্যার্তদের ৪ লাখ টাকা দিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের শিক্ষার্থীরা খুলনা জুট ওয়ার্কার্স ইনষ্টিটিউটের সম্পত্তি  রক্ষায় সভা অনুষ্ঠিত এমপি’র ছোঁয়ায় শত কোটি টাকার মালিক মুক্তা রাণী ! বন্যাদুর্গত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত নির্ধারণপূর্বক পুনর্বাসনের আহবান কৃষি উপদেষ্টার শত কোটি টাকার মালিক কে এই ন্যাংড়া স্বপন !

প্রাণ গেলেই হুঁশ ফেরে সংস্থাগুলোর

টাঙ্গন টাইমস ডেস্ক / ২৯৯ Time View
Update : শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪
ছবি- ইন্টারনেট

চুড়িহাট্টা, নিমতলী, গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারের বিস্ফোরণ, বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড কিংবা সায়েন্সল্যাবে একটি ভবনে বিস্ফোরণ যখনই এমন ঘটনা ঘটেছে, সেবা সংস্থাগুলো একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে নিজেদের দায় সেরেছে। আবারও একই ঘটনা ঘটল রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে সেখানে আগুন লাগে।

৮ তলা ভবনটিতে চলত রেস্তোরাঁসহ অনেকগুলো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি), ফায়ার সার্ভিস, তিতাস গ্যাস প্রত্যেকটি সেবা সংস্থার নাকের ডগায় ভবনটি।

অথচ ২০১১ সালে রাজউকের অনুমোদন নিয়ে গড়ে তোলা ভবনে সেফটি সিকিউরিটি না থাকলেও বছরের পর বছর বাণিজ্য করে যাচ্ছে। কোনো সংস্থাই এদিকে নজর দেয়নি। বৃহস্পতিবার রাতের অগ্নিকাণ্ডে যখন ৪৬ জনের প্রাণ গেল, তখন প্রত্যেকটি সেবা সংস্থা থেকে পৃথক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। কার কতটুকু দায় ছিল, কে কার ওপর দায় চাপাতে পারেÑ সেভাবেই ব্যস্ত ছিল সেবা সংস্থাগুলো। তবে প্রাণের দায় কেউ নেয়নি।

রাজউক সূত্রে জানা গেছে, বেইলি রোডের এই ভবনটি আবাসিক কাম বাণিজ্যিক হিসেবে ২০১১ সালে অনুমোদন নেয়। রাজউকের দেওয়া শর্তে ছিল সেখানে বাণিজ্যিক কার্যালয় হবে।

এরপর কেটে গেছে এক যুগের বেশি। পরে সেখানে রেস্তোরাঁসহ অনেকগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। তবে এর জন্য অনুমোদন নেয়নি ভবন মালিক। অনুমোদন না নিয়ে কীভাবে ট্রেড লাইসেন্স হলো, কীভাবে তিতাস গ্যাসের অনুমোদন মিলল, কীভাবে ফায়ার সেফটি সনদ ছাড়াই ভবন ব্যবহার শুরু করল এসবের কোনো উত্তর কোনো সংস্থার কাছেই নেই।

রাজউক বলছে, প্রতি ৫ বছর পর পর ভবন মালিকদের অকুপেন্সি সনদ নেওয়ার কথা। কিন্তু ভবনটি ২০১১ সালের পর আর অকুপেন্সি সনদ নেয়নি। তবুও কীভাবে বাণিজ্যিক ব্যবহার হচ্ছে, সেই উত্তর রাজউকের কাছেও নেই।

এ বিষয়ে রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) প্রকল্পের পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ২০১১ সালে ৮ তলা ভবনের অনুমোদন নিয়েছিল। তবে শর্ত ছিল আবাসিক কাম বাণিজ্যিক ব্যবহার হবে। সেখানে বাণিজ্যিক অফিস থাকার কথা ছিল। কিন্তু রেস্তোরাঁ ব্যবসা করলে আলাদা অনুমোদন লাগে। সেটি তারা নেয়নি। শুধু এখানেই ব্যত্যয় ঘটেছে।

রেস্তোরাঁর অনুমোদন নেয়নি সেটা আগে কেন দেখা হয়নি- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ব্যবসার ধরন চেক করা রাজউকের কাজ নয়। যে সংস্থা থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে; বিদ্যুৎ, গ্যাস ব্যবহারের অনুমোদন নিয়েছে আর ফায়ার সার্ভিস নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে কিনা সেটা তাদের দেখার কথা। এখানে কোনো একক সংস্থা কাজ করলে হবে না। সবগুলোর

সমন্বয় না হলে ব্যত্যয় ধরা কঠিন।

তিনি বলেন, এ ঘটনার পর সাতমসজিদ রোড. বনানী, গুলশান এভিনিউ, খিলগাঁও এলাকায় যতগুলো ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে তার হালনাগাদ তথ্য যাচাই করা জরুরি। শুধু রাজউক নয়, সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, তিতাস গ্যাস, বিদ্যুৎসহ সবগুলো সংস্থার সমন্বয়ে জরিপ করা দরকার। তা নাহলে এরকম ঘটনা আরও ঘটতে পারে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের পর শুক্রবার বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রোগী এবং পরবর্তী সময়ে বেইলি রোডের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘আমাদের প্রাথমিক পরিদর্শন এবং তথ্য থেকে যতটুকু জানতে ও দেখতে পেয়েছি, এই ভবন নির্মাণে অনেক গাফিলতি করা হয়েছে। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা, বিএনবিসি কোডে যে নির্ণায়কগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করা হয়েছে। এ কারণেও এত হতাহত।’

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ভবনে অনেকগুলো গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় সেগুলো বিস্ফোরিত হয়ে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে যায়।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ভবনের নিচতলায় ‘স্যামসাং’ ও ‘গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার’ নামের দুটি ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম বিক্রির দোকান, ‘শেখলিক’ নামের একটি জুস বার ও ‘চুমুক’ নামের একটি চা-কফি বিক্রির দোকান ছিল।

দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামে একটি রেস্তোরাঁ, তৃতীয় তলায় ‘ইলিয়িন’ নামের একটি পোশাকের দোকান, চতুর্থ তলায় ‘খানাস’ ও ‘ফুকো’ নামের দুটি রেস্তোরাঁ, পঞ্চম তলায় ‘পিৎজা ইন’ নামের একটি রেস্তোরাঁ, ষষ্ঠ তলায় ‘জেসটি’ ও ‘স্ট্রিট ওভেন’ নামের দুটি রেস্তোরাঁ এবং ছাদের একাংশে ‘অ্যামব্রোসিয়া’ নামের একটি রেস্তোরাঁ ছিল।

আরএম/টাঙ্গন টাইমস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/